কোকাকোলার জরুরি নির্দেশনা, নিজেদের জনপ্রিয় এক পানীয় পান না করার আহ্বান
প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২২
আপডেট:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ২১:৩২

পানি শোধনে ব্যবহৃত জীবানুনাশক থেকে উৎপাদিত রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় থাকতে পারে— পরীক্ষায় এমন তথ্য পাওয়ার পর নিজেদের উৎপাদিত একটি জনপ্রিয় পানীয় পান না করতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে কোকাকোলা।
তাদের আপেল জুস ‘অ্যাপলটাইজারের’ এর নির্দিষ্ট একটি ব্যাচে উচ্চমাত্রায় ক্লোরিট পাওয়া গেছে। এরপর এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব অ্যাপলটাইজারের গায়ে কোড ৩২৮ জিই থেকে ৩৩৮ জিই পর্যন্ত লেখা আছে সেগুলো অনিরাপদ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মেয়াদ ছিল ৩০ নভেম্বর অথবা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই কোডগুলো প্রত্যেকটি ক্যানের নিচে লেখা আছে। এই অ্যাপলটাইজার দক্ষিণ আফ্রিকায় উৎপাদন করে কোকাকোলা। এরপর সেগুলো যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে পাঠায়। বাংলাদেশ কোকাকোলার অ্যাপলটাইজার আমদানি করে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেটগুলো থেকে এই পণ্যের নির্দিষ্ট ব্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম বড় সুপারমার্কেট ও খুচরা বিক্রেতা সেইন্সবারি— যারা পণ্যটি বিপুল পরিমাণে মজুদ করেছিল, তারা নির্দিষ্ট ব্যাচের এ পণ্য না খাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সঙ্গে যারা এগুলো কিনেছেন সেগুলো ফেরত দিতে বলেছে। ফেরত দিলে সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে সুপারমার্কেটটি বলেছে, “যেসব ক্রেতা উপরোল্লিখিত পণ্য কিনেছেন তাদের সেগুলো পান না করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এগুলো সেইন্সবারির নিকটস্থ দোকানে ফেরত দিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ নিয়ে যান। এ ইস্যুতে অন্য কোনো পণ্যে সমস্যা হয়নি। যেকোনো ধরনের অসুবিধার জন্য অ্যাপেলটাইজার ক্ষমাপ্রার্থী।”
পানি পরিশোধনের জন্য খাবারে সামান্য পরিমাণে ক্লোরেট থাকতে পারে। তবে বেশি পরিমাণে খেলে এগুলো স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এটি বেশি পরিমাণে খেলে আয়োডিন গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য উদ্বেগজনক।
এরআগে গত জানুয়ারিতেও স্বাস্থ্য উদ্বেগ থাকায় কোকাকোলা যুক্তরাজ্য থেকে তাদের কিছু পণ্য ফেরত নিয়ে গিয়েছিল।
সূত্র: এক্সপ্রেস
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: