গাজায় খাদ্য সংকট চরমে, তিনজনের একজন দিনের পর দিন না খেয়ে
প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫৫
আপডেট:
২৮ জুলাই ২০২৫ ২১:৪৩

গাজায় দ্রুত অবনতিশীল মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের শীর্ষ মানবিক কর্মকর্তা রোববার জানিয়েছেন, সেখানে তিনজনের একজন মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে আছেন এবং শিশুরা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে, খাদ্য সহায়তার ভয়াবহ সংকটে।
সোমবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণবিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল এক সপ্তাহের জন্য সহায়তা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে—এতে কাস্টমস বাধা সরানো ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১০০টির বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক সীমান্ত পার হয়ে গাজায় প্রবেশের জন্য জড়ো হয়েছে।
ফ্লেচার বলেন, ‘এটা একটি অগ্রগতি, কিন্তু দুর্ভিক্ষ ও স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় ঠেকাতে এখনও বিপুল পরিমাণ সহায়তা দরকার।’
তিনি দ্রুত ও স্থায়ী প্রবেশাধিকার, দ্রুত কনভয় ক্লিয়ারেন্স, দিনে একাধিকবার সীমান্ত পারাপারের সুযোগ, নিয়মিত জ্বালানির যোগান ও নিরাপদ মানবিক করিডোর নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
‘মানুষ শুধু খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হচ্ছে,’ বলেন ফ্লেচার। ‘ত্রাণ সহায়তা কখনোই বাধাগ্রস্ত, বিলম্বিত বা হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না।’
তিনি সব জিম্মির অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফ্লেচার আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত শুধু সাময়িক বিরতি নয়, আমাদের প্রয়োজন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।’
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে, যেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। লাগাতার বোমাবর্ষণে গাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তৈরি হয়েছে চরম খাদ্যসংকট।
গত নভেম্বরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) একটি মামলা চলছে।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: