গাজায় ‘নিজেদের গুলিতে’ ৩১ ইসরাইলি সেনা নিহত
প্রকাশিত:
৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:১২
আপডেট:
৬ জুলাই ২০২৫ ০০:০২

গাজায় চলমান অভিযানে নিজেদের মধ্যে ভুলবশত ছোড়া গুলিতে (ফ্রেন্ডলি ফায়ার) ইসরাইলের অন্তত ৩১ সেনা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ইসরাইলি আর্মি রেডিওর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ‘স্থল অভিযান’ শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৪০ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ জন অভিযান পরিচালনাসংক্রান্ত দুর্ঘটনায় নিহত হন, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ১৬ শতাংশ।
এ ছাড়া সেনাদের মধ্যে ৩১ জন নিজেদের মধ্যে ভুলবশত ছোড়া গুলিতে, ২৩ জন গোলাবারুদ–সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায়, ৭ জন সাঁজোয়া যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ও ৬ জন অজ্ঞাত গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হন।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি ৮৮২ সেনা নিহত (স্থল অভিযানে নিহত ৪৪০ সেনাসহ) ও ৬ হাজার ৩২ সেনা আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি আর্মি রেডিওর খবরে আরও বলা হয়, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান আবার শুরু করার পর এখন পর্যন্ত সেখানে ইসরাইলি ৩২ সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু দুজন ‘অভিযান পরিচালনা–সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায়’ নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে সেটেলারদের আক্রমণ বেড়েছে। একইসঙ্গে ভূখণ্ডটিতে বেড়েছে সেটেলারদের দখলদারিত্ব। ২০২২ সালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দখলদারিত্ব বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
ইসরাইলের সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, বহু বিতর্ক ও টানাপোড়েন কাটিয়ে ২০২২ সালে নেতানিয়াহুর জোট সরকার ক্ষমতায় বসে। এরপর থেকেই পশ্চিম তীরে বিপুল পরিমাণে দখলদারিত্ব বেড়েছে।
গণমাধ্যমটি বলছে, পশ্চিম তীরে বসতিপূর্ণ এলাকা ১২৮টি থেকে বেড়ে ১৭৮টিতে পৌঁছেছে, যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসযজ্ঞও আগের তুলনায় বেড়েছে।
ডিএম /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: