ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন
প্রকাশিত:
১ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৮
আপডেট:
১ জুলাই ২০২৫ ২০:৪২

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেই পেতে হবে মৃত্যুদণ্ড। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানের সংসদে নতুন এ আইন পাস হয়েছে। ইসরায়েল ছাড়াও অন্য ‘শত্রু’ দেশগুলোর সঙ্গেও ইরানের কোনো মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারবে না।
এছাড়া মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারসেবা স্টারলিংক ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো, গুপ্তচরগিরি, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রু দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড।
বিশেষভাবে ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা ইসরায়েলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
অপরদিকে স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি ও কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এ অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড পেতে হবে।
আর যারা এসব নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ ১০টির বেশি উৎপাদন বা আমদানি করবে তাদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
এছাড়া কেউ যদি সামরিক ড্রোন তৈরি করে, সাইবার হামলা করে অথবা শত্রুদের জন্য ইরানি অবকাঠামোয় কোনো নাশকতামূলক কাজ করে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি যদি শুধুমাত্র কেউ এ ধরনের কোনো চেষ্টা চালায়, তাকেই মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে।
এরসঙ্গে কেউ যদি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে যেগুলো মানুষের মধ্যে ‘বিভক্তি, ভয়’ তৈরি করে এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়’ তাদের ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এছাড়া বিদেশি গণমাধ্যমকে কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠালে সেগুলো যদি ইরানি জনগণের ‘মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত করে’ তাহলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: