শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫, ১২ই আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে কিছুই বের করতে পারেনি ইরান: ট্রাম্প


প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২৫ ২২:০৭

আপডেট:
২৭ জুন ২০২৫ ০৩:১৮

ছবি সংগৃহীত

ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার আগে সেখান থেকে কিছু উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ইরান সরিয়ে ফেলেছিল, এমন দাবিকে অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার বাইরে থাকা গাড়ি এবং ছোট ট্রাকগুলো ছিল কংক্রিট শ্রমিকদের, যারা খাদের ওপরের অংশ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিল। সেখান থেকে কিছুই বের হয়নি। এটা খুব বেশি সময় নেবে। খুব বিপদজনক, খুব ভারী এবং সরানো কঠিন।’

এরআগে বেশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো স্যাটেলাইট ছবি এবং বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার আগেই ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান থেকে প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ ইউরেনিয়াম দিয়ে অন্তত ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি সম্ভব। তবে এই ইউরেনিয়াম কোথায় সরানো হয়েছে, তা এখনও অজানা। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা গোয়েন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, সরিয়ে নেওয়া ইউরেনিয়াম ছিল ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ। এই মাত্রা যদি ৯০ শতাংশে পৌঁছে, তাহলে তা সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে।

স্যাটেলাইট চিত্র এবং বিভিন্ন সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ ‘স্পিরিট’ বোমারু বিমান দিয়ে বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপের কয়েকদিন আগেই ইরান ইউরেনিয়াম এবং সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেয়। এসব সরঞ্জাম হয়তো ‘গোপন কোনো স্থানে’ স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, ছোট ছোট বিশেষ বাক্সে করে ইউরেনিয়াম ও যন্ত্রপাতিগুলো ট্রাকের মাধ্যমে অন্য কোনো ভূগর্ভস্থ কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই স্থানটি ইসফাহানের কাছাকাছি।

দুইজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্ভবত এটাই ঘটেছে। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস ইউরেনিয়াম কখনোই ফোরদো থেকে সরানো হয়নি। বরং বোমা হামলার পর এটি এখন হাজার হাজার ফুট ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং হামলার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখন পর্যালোচনা করছি।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top