সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ
প্রকাশিত:
৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯
আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৬
বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশ ও বিদেশের সব বিনিয়োগকারী, শেয়ার বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমের সামনে তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ব্যাংকটির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় এক হাজার ৬৫৩ কোটিতে। তবে অতি সতর্কতা নিয়ে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ বেশি রাখার কারণে কর পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। গত বছর প্রথম ৯ মাসে এ মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় ৪৫১ কোটিতে।
ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান এই আর্থিক প্রতিবেদনের নানাদিক পূর্ণাঙ্গ আকারে তুলে ধরেন। পরে এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন জানান, চলতি বছর শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
প্রথম ৯ মাসে ৭৭ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি জানান, ব্যাংকের আমানত এই ৯ মাসে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাড়লেও আমানতের ব্যয় ৪.৫ শতাংশে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া, সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ভালো অংকের আয়, ইত্যাদি বিষয়কেও তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, এই নয় মাসে ব্যাংকের আয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, যার ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত গত বছরের ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।
কর পরবর্তী মুনাফা ততটা না বাড়ার পেছনে তিনি জানান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত (এ বছর সংরক্ষিত মোট প্রভিশনের ৬৭ শতাংশ) ধরে রেখেছে, যা বছরের শেষে গিয়ে পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ রিস্ক অফিসার মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী, ডিএমডি ও হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স এ কে এম সায়েফ উল্লাহ কাউসার এবং হেড অব ট্রেজারি মো. শাহ আলম। অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
গত কয়েক বছরে সিটি ব্যাংকের ক্রমোন্নতি, বিশেষ করে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে অগ্রযাত্রা, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: