ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্যের বাজারে ডিমের হাফ সেঞ্চুরি
প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২২ ২৩:৫২
আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৩৯
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। সাধারণের প্রোটিনের উৎস ডিম। ধীরে ধীরে সেটিও অনেক দামি পণ্যে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি দামে হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে। হালি প্রতি মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ডজন প্রতি ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ডজনে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে। একটি ডিমের দাম পড়ছে প্রায় ১৩ টাকা। আর পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ থেকে ১৪৫ টাকায়।
অন্যদিকে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। অর্থ্যাৎ প্রতি ডিমে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ডিমের দামের এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।
ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে এখন মানুষ এলাকার দোকান থেকে কম ডিম কিনছে । বেশিরভাগ ক্রেতা একটু কম দামের আশায় বাজারে এসে ডিম কিনছে। এছাড়া অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকানে ডিম রাখছে না অতিরিক্ত দামের কারণে।
তথ্য মতে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৫০ ভাগ ডিম-মুরগির জোগান দেন গাজীপুর জেলার খামারিরা। এক সময় গাজীপুর জেলায় ডিম উৎপাদনকারী বা লেয়ার মুরগির খামার ছিল ৪ হাজার ১০৬টি ও ব্রয়লার মুরগির খামার ছিল ২ হাজার ৫৬৫টি। কিন্তু করোনাকাল ও ক্রমাগত লোকসানের কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা মহামারি ও পরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
ডিম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: