ক্রিকেট খেলা নিয়ে তর্ক, মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যা
প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৪
আপডেট:
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:০৩
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নাজিম উদ্দিন (১৩) নামের এক মাদরাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখযানুল উলুমের দ্বিতীয় তলার শয়নকক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাজিম উদ্দিন সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জাহানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। সে ২৬ পারা হেফজ শেষ করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠী আবু সাইদকে (১৬) ছুরিসহ আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখযানুল উলুমের দ্বিতীয় তলার শয়নকক্ষে একসঙ্গে ১৪ জন শিক্ষার্থী থাকে। রাত ৩টার দিকে চিৎকার শুনে ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আবু রায়হান লাইট জ্বালিয়ে দেখেন নাজিম উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করেছে সহপাঠী আবু সাইদ। বিষয়টি মাদরাসার প্রধান মাওলানা মাসুম বিল্লাহকে জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আবু সাইদকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে মাদরাসার প্রধান মাওলানা মাসুম বিল্লাহকে ফোন দিলে তিনি পেরেশানির মধ্যে আছেন বলে লাইন কেটে দেন। তারপর একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, মাদরাসাটির অনেক সুনাম রয়েছে। কিন্তু এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। শুনেছি ক্রিকেট খেলা নিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। সেই ঘটনার জের ধরে ঘুমন্ত অবস্থায় জবাই করে হত্যা করেছে। আমরা চাই এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
ঘটনাস্থল থেকে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, আটক আবু সাইদ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। নিহত নাজিম উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: