সাগর-রুনি হত্যায় বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকে জড়িত: শিশির মনির
 প্রকাশিত: 
                                                ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৯
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১২
                                                
 
                                        সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোকজন জড়িত ছিল মর্মে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরও নাম এসেছে। তদন্তের স্বার্থে নাম বলায় আইনি বাধা থাকায় এখন বলা যাচ্ছে না। যেহেতু কোনো বাধা নেই, তাই তদন্ত শেষে এ নামগুলো সামনে আসবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের হোটেল রয়েল ইনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সাগর-রুনি হত্যা মামলায় নিয়োজিত আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২০১২ সালে। প্রায় ১২ বছর পর একটা টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। যেহেতু আমি আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হয়েছি, তাই এর প্রাথমিক যে নথি তা দেখার সুযোগ হয়েছে। মামলাটি যেহেতু তদন্তে আছে এখন সব কিছু বলা যায় না। শুধু এটুকু বলা যায়, আমার কাছে মনে হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে এখানে। সেই দিক ধরে তদন্ত করতে পারলে এই হত্যাকাণ্ডের শেষ অংশে যাওয়া সম্ভব।
এই আইনজীবী বলেন, বেশ কিছু সংবেদনশীল মানুষের নাম সামনে এসেছে। যাদের নাম সামনে এসেছে তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। সেই নামগুলো আমি এখানে বলছি না। তবে আমার কাছে মনে হয় এখন তদন্তটা সঠিক পথেই আছে। যে জায়গায় গিয়ে তদন্তটা থেমে গিয়েছিল সেখানে সরকার আর বাধা দিচ্ছে না। যেহেতু বাধা দিচ্ছে না, দু’একটি জবানবন্দি আসছে, যেগুলোতে খুবই সংবেদনশীল তথ্য সামনে এসেছে। এর জন্য আমার কাছে মনে হয় অগ্রগতি হবে।
শিশির মনির আরও বলেন, যে কটা তথ্য এসেছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটা ডিএনএ রিপোর্ট। সাগর ও রুনির শরীর থেকে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা গেছে। এই দুজন ব্যক্তি কে তা খোঁজা হচ্ছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ দুজনের তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। এগুলো সামনে এলে সবকিছু সহজভাবে নেওয়া সম্ভব হবে। আপাতত কোনো বাধা নেই, উদ্দেশ্যের কোনো সংকট নেই। এ ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের কোনো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। বাকিটা ছয় মাস পর তদন্ত সম্পন্ন হলেই জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটা রিপোর্ট আছে, এগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামীকাল একটা মিটিং আছে সেই মিটিংয়ে হয়ত আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।
গণমাধ্যমের একটা বড় প্রতিষ্ঠান বা গণমাধ্যমকর্মীর নাম সামনে এসেছে, এমনটা শোনা যাচ্ছে– এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশির মনির বলেন, অপরাধের সঙ্গে তো আর প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকে না, অপরাধের সঙ্গে সাধারণত ব্যক্তি জড়িত থাকে। তবে গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের বাইরে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের নাম এসেছে, এটা ক্রসচেক করতে হবে। ক্রসচেক করে যদি পাওয়া যায় তবেই আপনাদের সামনে তাদের নাম প্রকাশ করতে পারব।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: