গাইবান্ধার কৃষক ঘরে তুলবেন ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান
 প্রকাশিত: 
                                                ৭ মে ২০২৪ ১৩:৫১
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩৬
                                                
 
                                        চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান ঘরে তুলবেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। আর এক সপ্তাহ পর হাইব্রিড জাতের ধান পুরোদমে ঘরে তুলবেন তারা। তবে এ বছর বাড়তি খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন প্রান্তিক কৃষক।
মঙ্গলবার (৭ মে ) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে দেখা যায়, কৃষকদের ধান কাটা-মাড়াইয়ের ব্যস্ত। এছাড়া মাঠজুড়ে দুলছে হাইব্রিড ধানের সোনালী শীষ।
মাঠপর্যায়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে দেশীয় জাতের ধান (চিকন) কাটতে শুরু করছে কৃষকরা। আর এ ধান ঘরে উঠানোর পরই পুরোদমে কাটা হবে হাইব্রিড জাতের ধান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে কাঙ্ক্ষিত ধান ঘরে তুলতে পারলে কৃষকরা লাভ হবেন বলে একাধিকা সূত্রে জানা গেছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এ জেলায় বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর। এ থেকে প্রায় ৮ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা রয়েছে।
জহির উদ্দিন নামের এক কৃষক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে দুই একর জমিতে রোরো ধান আবাদ করেন। ফলনও হয়েছে ভালো। সম্প্রতি যদি কোনো দুর্যোগ দেখা না দেয়, তাহলে সবগুলো ধান ঘরে তুলতে পারবেন। তবে খেতে কিছুটা রোগবালাই রয়েছে।
গত বোরো মৌসুমে ১ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করছিলেন বলে জানালেন লুৎফর রহমান নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, এতে তার সর্বমোট খরচ হয়েছিল ৮১ হাজার। এ বছর তা হেক্টর প্রতি ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বিদ্যুৎ, সার-ডিজেল, ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছরে হেক্টর প্রতি অতিরিক্ত প্রায় ১৬ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
রুহুল আমিন মন্ডল নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ফলন বাড়াতে এবং খরচ কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাকিল আজমী বলেন, এ বছর বোরো ধানের ফলন বেশ ভালো দেখা দিয়েছে। কৃষকদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে লিফলেট বিতরণসহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের খরচ কমানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: