রাজবাড়ীতে বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ আদায়
 প্রকাশিত: 
                                                ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫১
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১৫
                                                
 
                                        তীব্র দাবদাহে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও চলছে তীব্র দাবদাহ ও খরা। এক ফোটা বৃষ্টির আশায় মানবজাতির পাশাপাশি প্রহর গুনছে পশুপাখিরাও। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টো প্রতিদিনই তাপমাত্রা যেন বাড়ছেই।
এ অবস্থায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুরে তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর মৃধার বটতলা ঈদগাহ ময়দানে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
সরেজমিনে বহরপুর মৃধার বটতলা ঈদগাহ ময়দানে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হয়েছেন। নামাজে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন বহরপুর হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম। ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করার পর দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।
স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি বলেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। খরায় মাঠের ফসলাদি নষ্ট হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।
বহরপুর হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এই অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরুপায়। তাই এই দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় রসূল (সা.) এর সুন্নত মেনে আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে আমরা মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেছি।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: