নির্বাচন অনেকটা টিকার মতো, অনেকে ভয় পায় : ইসি আলমগীর
 প্রকাশিত: 
                                                ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৮
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১৩
                                                
 
                                        নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটা বলা হয়, একটা শঙ্কা থাকে। নির্বাচন হলো অনেকটা ইনজেকশন বা টিকার মতো। টিকা দেওয়ার আগে অনেকে ভয় পায়, কিন্তু টিকা দেওয়ার পরে টেরও পান না কখন টিকা দেওয়া হয়েছে। ইভিএম অনেকটাই ওই রকম। ইভিএম একমাত্র পদ্ধতি যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব। একজনের ভোট আরেকজন নিতে পারে না, ভোট ছিনতাই, প্রক্সি ভোট এবং জালভোট দেওয়া কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে জেলার হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, এখন সবাই অনেক স্মার্ট, সবার কাছেই স্মার্ট ফোন রয়েছে। ভোটাররা ভোট দিতে আসলে দেখবে ইভিএমে ভোট দিতে অনেক সহজ। আমাদের অভিজ্ঞাতা অনুযায়ী, যে সকল জায়গায় ইভিএমে আমারা ভোট করেছি, সেখানে ফিডব্যাক অনেক ভালো পেয়েছি। ভোটের পরে সব প্রার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়। কেউ যেন অন্যায়ভাবে কোনো প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিতে না পারে। কোনো ভোটারকে ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং ভোটার তার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।
আলমগীর বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগেও কিন্তু যে কেউ নির্বাচন করতে পারতো, কোনো রাজনৈতিক পরিচয় প্রয়োজন ছিল না। মাঝে আনইটা করা হয়েছিল যাতে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা হয়ে আসে। এবার আপনারা দেখেছেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এটিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। যার ফলে এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের (বিএনপি) অনেক কর্মী-সর্মথকরা অফিসিয়ালি না করলেও আন-অফিসিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সেদিক থেকে বলা যাবে না এই নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞাসহ দুই উপজেলার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: