টেলিগ্রামে চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকার প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২৬
আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৮

টেলিগ্রামে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি করার অভিযোগে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নয়ন আলী (৩৪)। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকা বিদেশে পাচারের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) একটি দল গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়ন আলীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, চক্রটি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের অজ্ঞাত নম্বর থেকে ভুক্তভোগীদের ঘরে বসে অল্প সময়ে বেশি আয়ের প্রলোভন দেখাত। প্রস্তাবে রাজি হলে পাঠানো হতো টেলিগ্রামের একটি লিংক। সেখানে কিছু সাধারণ কাজ শেষ করলেই বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হতো। প্রথমে বিশ্বাস অর্জনের পর দেওয়া হতো বিনিয়োগের প্রস্তাব। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা নেওয়ার পর তা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করা হতো।
গ্রেপ্তার নয়ন আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার চাচা পরিচয়ের জুহুরুল ইসলাম (৪০) তাকে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত করেন। মূলহোতা মেহেদী হাসানের (৩০) নির্দেশে নিজের ও বোনের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। প্রতি ১ লাখ টাকার জন্য ১ হাজার টাকা কমিশন পেতেন এবং গত তিন মাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করেছেন।
সিআইডির তথ্যমতে, নয়ন আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত তিন মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা ও চট্টগ্রামে একই অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আরও জানান, চক্রটির মূলহোতা মেহেদী হাসান ও জুহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো বিনিয়োগের অফার সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: