দুদক চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে ফিরোজ রশীদের উকিল নোটিশ
 প্রকাশিত: 
                                                ১৭ আগস্ট ২০২০ ০৩:২৮
 আপডেট:
 ১ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৪৬
                                                
 
                                        হাইকোর্টের রায় ও আদেশ অবমাননার অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসহ তিনজনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম, কে রহমান। অপর দুইজন হলেন দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক ও বর্তমানে দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. জুলফিকার আলী ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
‘সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের’ মামলায় ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে গত ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এক বিঘা ‘সরকারি জমি জাল দলিলের’ মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাজধানীর ৯/এ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়িটির (প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর ৬৫) ফিরোজ রশীদ জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী বাদি হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেছিলেন।
ফিরোজ রশীদের আইনজীবী এম. কে রহমান গতকাল রবিবার পাঠানো উকিল নোটিশে উল্লেখ করেন, দুদক (সংশোধন) আইন ২০১৬, ধারা ৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার দুদকের নেই। তা সত্ত্বেও দুদক মামলাটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি।
এ ব্যাপারে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা ও মামলাটি তদন্তের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আদেশ চেয়ে ফিরোজ রশীদ ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে আদালত ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর রুল জারি করে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে. এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ গত বছরের ১৭ জানুয়ারি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন।
উকিল নোটিশে বলা হয়, হাইকোর্টের রুল এবসলিউট হওয়ার বিষয় অবগত হওয়া সত্ত্বেও নোটিশ গ্রহিতারা ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের রায় ও আদেশের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করে একে অপরের যোগসাজসে ৯ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল। নোটিশ গ্রহিতাদেরকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চার্জশিট প্রত্যাহার ও বাতিল পূর্বক মামলা পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় নোটিশে। এসময়ের মধ্যে চার্জশিট প্রত্যাহার করা না হলে ফিরোজ রশীদ সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নোটিশ গ্রহিতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবেন বলেও নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘উক্ত সম্পত্তি সরকারি নয়, এটা ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এবিষয়ে মামলা করার কিংবা চার্জশিট দেওয়া দুদকের এখতিয়ারে পড়ে না।’



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: