শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


৩ একর জায়গা উদ্ধার করল রাজউক, শতাধিক দোকান উচ্ছেদ


প্রকাশিত:
৮ নভেম্বর ২০২২ ০৪:৩২

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ০৬:০০

ছবি সংগৃহিত

রাজধানীর উত্তরা-১৮ নম্বর সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ‘অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট’ এলাকার পশ্চিম পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে শতাধিক দোকান ছিল। রাজউকের বাস্তবায়ন-৬–এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম বলেন, আজ সোমবার সকালে এ অভিযান চালিয়ে বেদখলে থাকা প্রায় তিন একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

বাণিজ্যিক প্লটের জায়গায় দখলদার নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘রাজউকের জমিতে অবৈধ বাজার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। রাজউকের জমি দখল করে বাজার গড়ে তুলেছিলেন শ্রমিক লীগের নেতারা। ওই বাজার থেকে প্রতি মাসে চার লাখ টাকার বেশি চাঁদা তোলা হতো। এই টাকার ভাগ পেতেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা থেকে শুরু করে রাজউকের অসাধু কর্মীরাও।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সে অবৈধ বাজারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উত্তরা বিভাগের বাস্তবায়ন-৬ থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল হক।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাস্তবায়ন-৬–এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পে প্রায় ১০০ একর জায়গা বাণিজ্যিক প্লটের জন্য নির্ধারণ করা আছে। বাস্তবে ওই প্লটগুলো খালি। ওই খালি জায়গাগুলোয় অনেক দিন আগে থেকেই অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যেগুলো আমরা বিভিন্ন সময় অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাজউক উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে আবাসিক প্রকল্পের পশ্চিম পাশে বেড়িবাঁধসংলগ্ন পঞ্চপট্টি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ওই জায়গায় তিন–চার মাস ধরে একটি অবৈধ বাজার গড়ে উঠেছিল। বাজারের ভেতর ১০০টির মতো দোকান ছিল। এই জায়গার পরিমাণ তিন একরের মতো।’

এই কর্মকর্তার ভাষ্য, বাজারের চাহিদা উত্তরা আবাসিক প্রকল্প থেকেই মূলত শুরু হয়েছিল। কিন্তু রাজউকের পক্ষ থেকে আবাসিক এলাকার ভেতরেই অস্থায়ীভাবে একটি সুপারশপ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই হিসেবে আবাসিক বাসিন্দাদের চাহিদা ওই সুপারশপ থেকেই মেটানো সম্ভব। এই অবৈধ মার্কেট স্থাপনে রাজউক কর্তৃপক্ষ অনেকবার বাধা দিয়েছিল, কিন্তু তারপরও প্রতিনিয়ত দখল বেড়ে যাচ্ছিল। রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সুবিধা নেন এমন অনেক তথ্য জানতে পেরেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন হাফিজুল।

উচ্ছেদের পরিকল্পনা রাজউকের চেয়ারম্যানের নির্দেশে করা হয়েছে জানিয়ে হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও আমরা একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি কিন্তু বেদখল ঠেকানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার আমরা বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে দিচ্ছি। এর ভেতরে আমার অধীন কর্মীদেরকে শাকসবজি চাষ করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই কর্মীরা আবাসিক প্রকল্প এলাকার ভেতরে অবস্থান করেন।’

অবৈধ দখলদারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে আবার যাতে কেউ এই জায়গার দখল নিতে না পারেন সে ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কারণ, একটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এক দিনের কর্মসূচি হলেও অনেক টাকা ব্যয় হয়। সুতরাং বারবার একই জায়গায় উচ্ছেদ করতে হলে সরকারের টাকার অপচয় হয়। যত দিন না এই বাণিজ্যিক প্লটগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে, অন্ততপক্ষে তত দিন যেন প্লটের জায়গাগুলো দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হয়।


সম্পর্কিত বিষয়:

রাজউক

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top