বুধবার, ১২ই নভেম্বর ২০২৫, ২৮শে কার্তিক ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


১৬৩৮টি ক্রেডিট কার্ডের মালিক, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন এই ব্যক্তি


প্রকাশিত:
১২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০

আপডেট:
১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১৫

ফাইল ছবি

আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে, ক্রেডিট কার্ডের কাজ কেনাকাটা বা বিল পরিশোধের মধ্যেই শুধু সীমাবদ্ধ, তাহলে মনীশ ধামেজার গল্প আপনাকে অবাক করে দিতে পারে। তিনি ক্রেডিট কার্ডগুলোকে তাদের চিরাচরিত ব্যবহারের বাইরে প্রসারিত করেছেন এবং সেগুলোকে আয়ের উৎসে পরিণত করেছেন।

এর জন্য ইতিমধ্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করেছেন তিনি।মণীশের কাছে ১৬৩৮টি বৈধ ক্রেডিট কার্ড রয়েছে এবং এই কার্ডগুলো শুধুমাত্র সংগ্রহের জন্য নয়। কোনো ঋণ না নিয়েই তিনি রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক, ভ্রমণ এবং হোটেলের সুযোগ-সুবিধা পেতে এই কার্ডগুলো ব্যবহার করেন। তার কোনও ঋণ নেই, সম্পূর্ণ শূন্য ঋণের সাথে এই কার্ডগুলো ব্যবহার করেন মনীশ।

হায়দরাবাদের বাসিন্দা মণীশ ধামেজা। পড়াশোনা করেছেন কানপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ তিনি। পরবর্তীতে দূরশিক্ষায় সোশ্যাল ওয়ার্কেও মাস্টার্স করেন তিনি। বর্তমানে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থায় চিফ হোলসেল ব্যাঙ্কিং অফিসার পদে কর্মরত। তবে এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, অর্থনৈতিক সমস্ত দিক ঘেঁটে খুঁটিনাটি জানা তার শখ।

সেই শখ থেকেই একের পর এক ক্রেডিট কার্ড। গিনেসকে মনীশ জানিয়েছেন, 'আমি মনে করি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া আমার জীবন অসম্পূর্ণ ছিল। আমি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ভ্রমণ, রেল লাউঞ্জ, বিমানবন্দর লাউঞ্জ, খাবার, স্পা, হোটেল ভাউচার, ফ্লাইট টিকিট, শপিং ভাউচার, সিনেমা, কমপ্লিমেন্টারি টিকিট ইত্যাদি উপভোগ করি রিওয়ার্ড পয়েন্ট, এয়ারমাইল এবং ক্যাশব্যাক ব্যবহার করে।

বর্তমানে ১৬৩৮টি ক্রেডিট কার্ডের মালিক মনীশের প্রতিটি কার্ডের যাবতীয় তথ্য নাকি নখদর্পণে। প্রতিটি কার্ড এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ। মনীশ ভারতে ২০১৬ সালের নোটবন্দীকরণের সময় তার অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেছিলেন। সেই সময় সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিল। তৎকালীন বিশৃঙ্খলার কথা স্মরণ করে মনীশ বলেন, সেই সময় লোকেরা নগদ তোলার জন্য ব্যাঙ্ক এবং এটিএমের বাইরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারতে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। সেই সময় ক্রেডিট কার্ড আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আমাকে ব্যাংকে নগদ অর্থের জন্য হুড়োহুড়ি করতে হয়নি এবং আমি কেবল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটালভাবে অর্থ ব্যয় করেছিলাম। মনীশের কথায়, ‘ক্রেডিট কার্ড আমার ভালোবাসা।'


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top