তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ, সাড়া দেয়নি টিকটক
 প্রকাশিত: 
                                                ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৫৯
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:০৩
                                                
 
                                        বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে টিকটকের কাছে দুটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ অনুরোধে সাড়া দেয়নি টিকটক কর্তৃপক্ষ। তারা কোনো তথ্যও দেয়নি।
ইন্টারনেটে ভিডিও প্রচার বা প্রকাশের জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স আজ মঙ্গলবার নিজ ওয়েবসাইটে তাদের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, ইংরেজি অক্ষর ক্রম অনুযায়ী সাজানো তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মোট ৪২টি দেশ টিকটকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
ওই তালিকায় এ বছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বিবেচনা করা হয়েছে। ওই সময়ে বিশ্বে ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৯টি ভিডিও সরিয়ে ফেলে টিকটক। নীতিমালা লঙ্ঘন ও কমিউনিটি নীতিমালা না মানায় এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সংখ্যা টিকটকে বছরের প্রথম ছয় মাসে আপলোড হওয়া ভিডিওর এক শতাংশেরও কম।
টিকটক জানিয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরিয়েছে ভারতীয়দের। বছরের প্রথমার্ধে তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়েছে তারা। গত জুন মাসে ভারত সরকার টিকটকসহ ৫৮টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর ভারতে অ্যাপ দুটি সরিয়ে দেয় এবং টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো ওই প্ল্যাটফর্মে ঢোকা বন্ধ করে দেয়।
টিকটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ভারতে যেসব ভিডিও সরিয়েছে তার ৯৬.৪৬ শতাংশ ভিডিও কোনো অভিযোগ পাওয়ার আগেই সরানো হয়। এর মধ্যে ৯০.৩২ শতাংশ ভিডিও কেউ দেখেনি।
টিকটক আরও জানিয়েছে, টিকটক ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে বিভিন্ন সরকারের পক্ষ থেকে আইনি অনুরোধ পাওয়ার হার বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৪২টি দেশ বা মার্কেট থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে এক হাজার ৭৬৮টি অনুরোধ করা হয়। এর মধ্যে ১২১টি অনুরোধ সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫টি ভিন্ন দেশের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার বা আটকে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে টিকটকের পক্ষ থেকে অঞ্চলভিত্তিক সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। টিকটকের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৬২৫টি কপিরাইট করা কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ পর্যালোচনা করেছে। কনটেন্ট সরানোর দিক থেকে ভারতের পরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্য।
টিকটক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং অধিকারকে সম্মান জানিয়ে বৈধ আইন প্রয়োগের অনুরোধগুলো বিবেচনা করে তারা। ব্যবহারকারীর তথ্য পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তথ্যের ধরনের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত আইনি নথি সরবরাহ করতে হয়। এর মধ্যে আদালতের আদেশ, ওয়ারেন্ট বা জরুরী অনুরোধ অন্তর্ভুক্ত। তবে সীমিত জরুরি পরিস্থিতিতে টিকটক আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই ব্যবহারকারীর তথ্য প্রকাশ করে থাকে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: