মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ই ফাল্গুন ১৪৩১


মেয়েরা হুডি পরতে পারবে কি না, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ


প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩:০০

আপডেট:
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৪

ছবি সংগৃহীত

মেয়েদের জন্য হুডি এবং এ জাতীয় পোশাক পরা জায়েজ। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ডুয়েটের কোনো এক নারী শিক্ষার্থী শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, মেয়েদের জন্য হুডি পরা জায়েজ হবে কি না? প্রশ্নের জবাবে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন—

পৃথিবীতে যত সৃষ্টি বা উপকরণ আছে নারী-পুরুষের জন্য তা ব্যবহারের অফুরন্ত সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। বেশির ভাগ জিনিসের ক্ষেত্রে হারাম কথাটি শুনতে শুনতে আমাদের মনে যেকোনো কাজের আগে তা হারাম নাকি হালাল এ নিয়ে প্রশ্ন জাগে। যেমন হুডি পরা নিয়েও প্রশ্নটি সামনে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা হারামের তালিকা বা বিবরণ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি হালালের কোনো তালিকা দেননি। হারামের তালিকা দেওয়ার কারণ হলো, নির্বাচিত কিছু জিনিস হারাম। এর বাইরে বাকি জিনিসগুলো হালাল।

তিনি বলেন, ইসলামী ফিকহের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সৃষ্টি জগতের সব মানুষের জন্য হালাল, শুধু যেগুলো আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করছেন তা ছাড়া বাকি সবই হালাল।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কোরআনে আল্লাহ তায়ালা যা হারাম বলেছেন এর বাইরে যা আছে সবই হালাল। ঠিক একইভাবে পোশাকের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কিছু মূল নীতি দিয়েছেন। যেমন ছেলেরা টাখনুর নিচে পোশাক পরবে না।

ইসলামী বিধানের এই মূলনীতি অনুসরণ করে কেউ চাইলে হুডি, জামা, চাদর, কানটুপি যা ইচ্ছা তাই পরিধান করতে পারবেন। ইসলামী শরিয়ত এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে অবারিত স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। এই মূলনীতির আলোকে নারীরা চাইলে হুডি পরতে পারবেন। এতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।

তিনি আরও বলেন, কোরআনে আল্লাহ তায়ালা রক্ত, মৃত প্রাণী, শুকর হারাম করেছেন। রক্ত ক্ষতিকর এজন্য তা হারাম। তবে শূকর কেন হারাম, তা আমাদের বুঝে আসে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালার সব বিধান বা নির্দেশ আমাদের বুঝা জরুরি নয়। আল্লাহর সব নির্দেশের যথার্থতা যদি আমি বুঝে পালন করি এবং যদি ব্যাপারটা এমন হয় যে, আমি বুঝলে ইসলামের বিধান মানবো, না বুঝলে মানবো না, তাহলে আল্লাহ তায়ালাকে মানা হলো না, নিজের বিবেকের অনুসরণ করা হলো।

জনপ্রিয় এই ইসলামী আলোচক বলেন, রাসূল সা. এর বর্ণিত সব নির্দেশ তাৎক্ষণিক বুঝা জরুরি নয়। কোনোটা তাৎক্ষণিক প্রতিফলিত হবে, কোনোটা ৫০০ বছর আবার কোনোটা ১ হাজার বছর পরে প্রতিলিত হবে। অনেক হাদিস শুনলে মনে হয় যেন তিনি তা বর্তমান সময়ের জন্য বলেছেন। করোনার লকডাউনের সময় তা আমরা খেয়াল করেছি। তিনি (রাসূল সা.) বলেছিলেন, কোনো এলাকায় মহামারী দেখা দিলে কেউ যেন সেখান থেকে বাইরে না যায় এবং ভেতরে প্রবেশ না করে। লকডাউনের সঙ্গে হুবহু মিলে যায় এই হাদিসের বাণী।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top