সফলতার জন্য কোরআনে যে ৩ গুণ অর্জন করতে বলা হয়েছে
প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৩৪
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৫৭

মানুষের সফলতার জন্য বিশেষ মাপকাঠি ও গুণাবলী রয়েছে। কোরআন, হাদিস ও মানবীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতার বিভিন্ন উপায় বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেকটিই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনের সুরা লুকমানে সফল ও হেদায়েতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তিনটি গুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সুরা লুকমানের বর্ণনা অনুযায়ী একজন মানুষ সফল হওয়ার জন্য নামাজ আদায়, যাকাত প্রদান ও পরকালে বিশ্বাস রাখা জরুরি। এই তিনটি গুণ মানুষকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—
الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّكٰوۃَ وَ هُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ هُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ ؕاُولٰٓئِكَ عَلٰی هُدًی مِّنۡ رَّبِّهِمۡ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ
যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, আর তারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী। তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর আছে এবং তারাই সফলকাম। (সুরা লুকমান, আয়াত : ৪-৫)
কোরআনের এই আয়াতে নামাজ ও যাকাত আদায় এবং আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে একথা প্ৰকাশ করা হয়েছে যে, অন্য সব সৎকাজ এ তিনটি সৎগুণের ওপরই নির্ভর করে। কারণ, নিয়মিত নামাজ আদায়ের ফলে আল্লাহর হুকুম মেনে চলা ও আল্লাহর ভয়ে ভীত হওয়া স্থায়ী অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।
হিসাব করে যাকাত দেওয়ার কারণে আত্মত্যাগের প্রবণতা সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হয়, পার্থিব সম্পদের প্রতি মোহ দমিত হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আকাংখা জেগে ওঠে।
আখেরাতে বিশ্বাসের ফলে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহি করার অনুভূতি জাগে।
এ কারণে তারা এমন জন্তু-জানোয়ারের মতো হয় না। যারা চারণক্ষেত্রে বাঁধন-হারা হয়ে এদিক ওদিক চরে বেড়ায়। বরং তারা এমন মানুষদের মতো হয়ে যায় যারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছাচারী মনে করে না। মনে করে, তারা কোন প্রভুর গোলাম এবং নিজেদের সমস্ত কাজের জন্য প্রভুর সামনে জবাবদিহি করতে বাধ্য।
ডিএম/রিয়া
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: