বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষ নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তারা একে অপরের জীবনের অংশ হয়ে যান। একসঙ্গে আজীবন কাটিয়ে দেওয়ার শপথ নেন বিবাহিত নারী ও পুরুষ।
একসঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটাতে গিয়ে অনেক চড়াই-উৎড়াই পেরোতে হয়। সব কিছু ধৈর্যের সঙ্গে শান্ত্বভাবে সামলিয়ে নিয়ে দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হয়।
দাম্পত্য সুখী করতে নারী-পুরুষ দুজনকেই সমানভাবে ধৈর্য ও সহমর্মিতার পরিচয় দিতে হয়। একে-অপরকে বুঝে মানিয়ে নিতে হয়। স্বামী-স্ত্রী একে-অপরের পোশাক তুল্য। পোশাক যেভাবে শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিজের গায়ে লেগে থাকে। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী একেবারে আপন হয়ে থাকেন একজন আরেকজনের।
স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। একজন ভালো, নেককার ও সতী স্ত্রীকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেছেন, দুনিয়ার পুরোটাই সম্পদ। তবে দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ হল সতী স্ত্রী। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৫৬৭)
হাদিসে নেককার স্ত্রীকে সর্বোত্তম সম্পদের সঙ্গে তুলনার মাধ্যমে একজন নারীকে স্বামীর জন্য একনিষ্ঠ ও স্বামীকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি একজন পুরুষের ভালোমন্দ মাপের মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে। একজন পুরুষ নিজের আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে কতটা ভালো ব্যবহার করছেন তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো তিনি নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কেমন আচরণ করছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলমান হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে অতি উত্তম। (তিরমিজি, হাদিস : ১১৬২)
স্ত্রীর কাছে নিজেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে এবং স্ত্রীর সঙ্গে কাটানো সময় ও তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, এর মাধ্যমে একজন মানুষ কতটা ভালো তা নির্ধারণ হয়। তাই স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার আবশ্যক।
এসএন/রুপা