রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ আগস্টে অনুষ্ঠিত ‘৩৬ জুলাই মুক্তির উৎসবে’ পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ডদল আর্টসেলের। কিন্তু হঠাৎই আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা পোস্ট করে কনসার্ট বাতিলের কথা জানায়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান আয়োজক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন আয়োজকেরা।
এবার আর্টসেলের কাছে ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত চেয়ে একদিনের সময় দিয়েছেন প্রধান আয়োজক ও সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট Artcell, Lincoln Artcell, আজকের মধ্যে আপনারা ডিসিশন জানাবেন, ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত পাঠাবেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মেনশন করে ক্ষমা চাইবেন।
মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ তালিকা দেওয়া হয়েছে। এটা না দিলে কোন কোন আইনে মামলা হবে সেটার তালিকা আমরা প্রস্তুত করছি এবং আগামীর কানাডা সফর বাতিলের আওয়াজ তুলব আমরা।
তাদের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এটাকে তিনি মিডিয়ার সামনে চাঁদাবাজি হিসেবে আনবেন। আমি এখানে ওপেন ডিকলারেশন দিচ্ছি- নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ মেইনটেইন করে শেষ মুহূর্তে কনসার্ট ক্যানসেল করেছে। তোমাদের টাকা নিয়ে ক্যাম্পাসের কুকুরগুলোকে খাওয়াব। আর এটা চাঁদাবাজি হিসেবে সামনে আনলে আনো। তোমার কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সময় মাত্র ১২ঘণ্টা।
এ বিষয়ে আয়োজক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা সমস্ত আয়োজন, মঞ্চ, ডেকোরেশন প্রস্তুত করার পর হঠাৎ আর্টসেল ফেসবুকে ঘোষণা দেয় অনিবার্য কারণে তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসার্টে আসছে না। এতে আমরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ই-মেইলের রিপ্লাই দিয়েছে। এর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তাদের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগসাজশ আছে। এছাড়া আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির মামলা করব।