38875

07/19/2025 ভারতে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে ‘খোঁচা’ দিলেন মমতা

ভারতে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে ‘খোঁচা’ দিলেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৭

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আশ্রয়ের’ দিকে ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘খোঁচা’ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত ‘বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে’ - এমন অভিযোগ তুলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘আশ্রয়ের’ প্রসঙ্গ টানেন।

এক প্রতিবেদনে আনন্দবাজার উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাময়িকভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। নাম না নিয়ে সে দিকে ইঙ্গিত করেছেন মমতা।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অতিথি তো কয়েক জনকে রেখেছে ভারত সরকার। আমি কি না করেছি? কারণ, রাজনৈতিক কারণ আছে, ভারত সরকারের অন্য কারণ আছে। পাশের দেশ বিপদে পড়েছে। কই, আমরা তো কখনো বলি না। তা হলে আপনারা কেন বলবেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল!’

মমতা আরও বলেন, ‘একটা নোটিফিকেশন (বিজ্ঞপ্তি) করে বলছে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাদের ডিপোর্ট করে দাও। কেন? ওরা জানে না, বাংলা ভাষায় কথা বলা লোকের সংখ্যা সারা এশিয়ায় দ্বিতীয়। আর সারা পৃথিবীতে পঞ্চম।’

তিনি স্পষ্ট করে দেন, ভারতের যে কোনো নাগরিক দেশের যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই যে ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে কথাও বক্তৃতায় তুলে ধরেন মমতা।

কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে মমতা বলেন, ‘আজ সকলের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কেন বলবে ১৭ লাখ লোকের নাম বাদ দিয়ে দাও! কে তুমি হরিদাস? কে তোমরা? যে ভারতীয় নাগরিক সেই ভোট দেবে। যারা বাংলায় বাস করেন, বাংলার নাগরিক, কেন তুমি তার নাম কাটবে? সে কোন জাত, কোন ধর্ম তা তোমার দেখার দরকার নেই। তারা ভীষণভাবে বাংলার ভোটার।’

মমতা আরও জানান, তিনি বাংলার মানুষের জন্য গর্বিত। তিনি নিজেও হিন্দি, উর্দু, সংস্কৃত, গুজরাতি, মরাঠি, পঞ্জাবি, অসমিয়া, ওড়িয়ার মতো বিভিন্ন ভাষা বুঝতে পারেন - তা বক্তৃতায় জানান।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, আসাম এবং ওড়িশায় বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]