যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও এখনো স্পষ্ট নয়, ইসরাইল তা মেনে নিচ্ছে কি না। অপরদিকে, ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ শুরু হবে যুদ্ধবিরতির পর—ইরানের হাতে যাতে পরমাণু অস্ত্র না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
হোয়াইট হাউজ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেটি নিশ্চিত হতে পর্যবেক্ষকদের মাটিতে প্রবেশ করতে দিতে হবে ইরানকে।
তবে এখনো বহু প্রশ্নের উত্তর অজানা।
হামলার আগে কি ইরান তাদের পারমাণবিক উপাদান ও যন্ত্রপাতি গোপন স্থানে সরিয়ে ফেলেছিল? এমন কি কোনো গোপন কেন্দ্র ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণে ধ্বংস হয়নি?
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন একটি নতুন কূটনৈতিক সমঝোতা, যার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয়’ভাবে নিষ্ক্রিয় করা যাবে।
এর আগে এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছিল—যেটি ছিল ২০১৫ সালের যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ)। কিন্তু ট্রাম্প ২০১৮ সালে সেই চুক্তি বাতিল করে দেন, দাবি করে যে সেটি ত্রুটিপূর্ণ এবং ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে পুরোপুরি বাধা দিতে অক্ষম।
এখন সেই কূটনৈতিক পথেই যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরতে হতে পারে, যদিও পরিবেশ এবার আরও জটিল।