বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে মবের লাঞ্ছনার পর গ্রেপ্তার করা হলেও এর দায় এড়াতে পারে না সরকার— এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেছেন, একতরফা নির্বাচন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকেই জন্ম নিচ্ছে মবোক্রেসি। সরকার দুর্নীতিবাজ কমিশন, ডামি এমপি ও মাফিয়াদের বিচারের আওতায় না এনে উল্টো পুনর্বাসন করছে। এতে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে এবং মব ন্যায়বিচারের বিকল্প হয়ে উঠছে। মবের পেছনে রসদ জোগাচ্ছে সরকারেরই দুর্বলতা।
সোমবার (২৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, গতকাল মবোক্রেসির মাধ্যমে লাঞ্ছিত হওয়ার পর বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার হয়েছেন। মবোক্রেসি ও লাঞ্ছনার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকার মবের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, এই মব উৎপাদনের সঙ্গে সরকার জড়িত নয় কি? সরকারের মাথায় কেন বিতর্কিত তিনটা একতরফা, নৈশ ও ডামি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কমিশন, সচিব, ডিসি, এসপি এবং আওয়ামী লীগের ডামি, মামি, স্বতন্ত্রনামধারীদের এমপি ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার, সম্পদ বাজেয়াপ্তের চিন্তা কাজ করে না?
তিনি আরও লেখেন, উল্টো আমি অসংখ্যবার বলেছি, এই সরকারের উপদেষ্টারা সাবের-মান্নানসহ বেশকিছু ডামি এমপির জামিন করিয়েছে, পুনর্বাসন করছে। যেসব এমপির টাকা ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও আত্মীয়তার সম্পর্ক, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। যেসব মাফিয়া সম্পদশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী হাসিনার অবৈধ সাম্রাজ্য গঠনে সহযোগিতা করেছিল, তারাও ধরাছোঁয়ার বাইরে। সরকার যদি এদের শাস্তির আওতায় না এনে অপরাধীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখে, তাহলে কি মব উৎপাদনের জন্য সরকার রসদ জোগাচ্ছে না?
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে যে বিপ্লবী চরিত্র জনগণ প্রত্যাশা করেছিল, তার কোনোকিছু পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৩০০০ মাথাওয়ালা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শেখ পরিবারের একজনকেও সরকার পাকড়াও করেনি। গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কতজনকে ধরা হয়েছে? তাহলে গণহত্যার বিচার সরকার কিভাবে করতে চায়? সরকার যতদিন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে না, ততদিন সমাজ থেকে মবোক্রেসি বন্ধ হবে না। মব উৎপাদনের দায় পুরোপুরি সরকারের। সরকারের দুর্বলতার কারণেই মবের ঘটনা ঘটছে।