পাকিস্তান এবং ভারতের সামরিক সংঘাতের জেরে গত ৯মে বন্ধ হয়ে যায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আগামী ১৭মে থেকে ফের মাঠে গড়াচ্ছে সেই লিগ। তবে ৮ দিনের এই বন্ধে বদলেছে অনেক সমীকরণই। এরইমাঝে ফিরতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি। ১১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
দেশের হয়ে খেলার আগে অনেকেই বিশ্রামে থাকতে আগ্রহী। আবার অনেকের মাঝেই আছে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। যে কারণে অনেক ক্রিকেটারই ফিরছেন না আইপিএলে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই আইপিএলে এবারের আসরের জন্য ফিরতে রাজি নন। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের আইপিএল ছাড়তে হবে ২৫ মে এর পরেই।
বিদেশি ক্রিকেটারদের এমন অনীহার কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে পাঞ্জাব কিংসকে। মার্কাস স্টয়নিস, জশ ইংলিস, মার্কো ইয়ানসেন এবং অ্যারন হার্ডির ফেরা হচ্ছে না তা নিশ্চিত। জ্যাভিয়ের বার্টলেট, আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং মিচেল ওয়েনকেই কেবল দলে পাচ্ছেন কোচ রিকি পন্টিং।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে আসছেন না জশ হ্যাজেলউড, জ্যাকব বেথেল, রোমারিও শেফার্ড এবং লুঙ্গি এনগিদি। এদের চারজনই ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচিতে। গুজরাটের হয়ে খেলতে আসবেন না জশ বাটলার এবং জেরাল্ড কোয়েৎজি। যদিও রাবাদা, বাটলার এবং শেরফেইন রাদারফোর্ডের খেলা পুরো হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে নিজ নিজ বোর্ডের ওপর।
একঝাঁক তারকা হারাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এরইমাঝে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হয়েছে তাদের। আসছেন না এশান মালিঙ্গা, কামিন্দু মেন্ডিস এবং উইয়ান মুল্ডার। ফিরছেন বড় তিন সাইনিং– ট্রাভিস হেড, প্যাট কামিন্স আর হেনরিখ ক্লাসেন। চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে আসছেন না জেমি ওভারটন, শঙ্কা আছে রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে।
দুই অজি তারকা ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবং মিচেল স্টার্ককে ছাড়া ফিরতি লিগ শুরু করবে দিল্লি ক্যাপিটালস। কলকাতায় বড় সব নাম ফিরে এলেও অনিশ্চিত মঈন আলী ও স্পেন্সার জনসন। লখনৌতে ফিরছেন না এইডেন মার্করাম।
‘অপারেশন সিঁদুর উদযাপন করতে আপনাদের স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ ঘটাব’
সব বিদেশি খেলোয়াড় ফিরছে কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। আবার কোনো বিদেশিই আসছেন না রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলতে।