পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের সঠিক মানদণ্ড নিশ্চিত না হলে ন্যায্য রূপান্তর সম্ভব নয়, বরং ‘গ্রিনওয়াশিং’ প্রবণতা বাড়ে। টেকসই পরিবর্তন কেবল জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। কৃষি, উৎপাদন ও টেক্সটাইলসহ প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা দরকার।’
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বিআইসিসিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাস্ট ট্রানজিশন একাডেমি: সবুজ অর্থনীতিতে সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ কাজ’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পোড়ানো ইটের বিকল্প নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও এটি এখনো কাঠামোগত পরিবর্তন অর্জন করেনি। পরিবেশ অধিদপ্তর শুধু প্রকল্প অনুমোদনের কাজ করছে- এ ধারণা বদলানো প্রয়োজন। উন্নয়ন যেন পরিবেশের বিরুদ্ধে না যায়, সে বিষয়ে নীতিগত সমন্বয় প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবনগুলোতে শুধু ‘সবুজ সনদ’ যথেষ্ট নয়, বরং দেখতে হবে ওই ভবনগুলো নারীবান্ধব কিনা, শ্রমিকদের বিশ্রাম নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা, পানি পুনঃব্যবহার ও টেকসই জ্বালানি ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। একদিকে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই, অন্যদিকে আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করি। এটি নীতির পাশাপাশি মূল্যবোধের বিষয়।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত ও এনজিও একযোগে কাজ করলে টেকসই পদ্ধতিগুলো নীতিমালায় প্রতিফলিত হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে।’