ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল, প্রবাসীদের ব্যালটে থাকবে না প্রার্থীর নাম
প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:২২
আপডেট:
৭ আগস্ট ২০২৫ ২২:৫৯

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। এছাড়া প্রবাসীরা যে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন সেখানে শুধু প্রতীক থাকবে, কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নবম কমিশন সভা মুলতবি ঘোষণা করে তিনি সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা ভোটের তারিখ নিয়ে আলোচনা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে এটা নিয়ে আলোচনা করি নাই। তবে আমরা অতি শিগগিরই আলোচনা করব।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের কাছে সিম্বল ব্যালট (প্রতীক সংবলিত) যাবে৷ যাতে সময় কম লাগে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর সিম্বল ব্যালটে ভোট দেবেন। ইসিতে এসে পোস্ট অফিস ব্যালট নিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন করে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর তারা অনলাইনে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পারবেন। সেই অনুযায়ী তারা পছন্দের প্রার্থী দেখে ব্যালটে থাকা সেই প্রার্থীর সিম্বলে ভোট দেবেন।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সম্মেলেনে কথা বলেন ইসি মো. সানাউল্লাহ।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে চাই। মাধ্যমটা হবে পোস্টাল ব্যালট। অতীতে এই বিধান থাকলে সময়ের কার্যকর করা যেতো না। এবার তিনভাবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট হবে। যারা প্রবাসে থাকেন, কারাগারে থাকেন ও ভোটের দায়িত্বে থাকেন। তাদের জন্য এই ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য আগেই নিবন্ধন করতে হবে। পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর থেকে প্রচার ও ভোটারশিক্ষণের কাজ চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন হলে আদালতের আদেশে তবে সেখানে পোস্টাল ব্যালট হবে না। তবে আইনি কার্যক্রম যেন দ্রুত হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, এটা ব্যয় সাপেক্ষ প্রসেস। আনা-নেওয়া করতে ব্যালট প্রতি ৫শ টাকা থাকবে৷ এরপর ছাপানোর খরচও আছে। আবার নিবন্ধন কার্যক্রমের জন্য ৪৮ টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে। প্রতি এক লাখ ভেটারের জন্য সবমিলিয়ে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা আইনে সামান্য সংশোধন করেছিলাম। এজন্য বছরের মাঝামাঝিতে ভোটার করে নিতে পারবো। এজন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবে তাদের তালিকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। এতে ১৮ থেকে ২০ লাখের তরুণ ভোটার যোগ হতে পারে।
তিনি বলেন, আচরণ বিধিমালায় এআইয়ের অপবব্যহার আমরা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছি। ডিসইনফরমেশন ছড়াতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি করা হয়।
ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রার্থী, পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যম কেউই ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। কমিশনের যদি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তাহলে তাহলে কমিশন সেটা বিবেচনা করে দেখবে। ভোটে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: