পেঁয়াজের চা খেলে মিলবে যেসব সুফল
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৪
আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:০৪

পেঁয়াজ— রান্নাঘরের অতি পরিচিত একটি মসলা। এর পুষ্টিগুণও অঢেল। এতে আছে ফাইটোকেমিক্যাল। এছাড়াও আছে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, পেঁয়াজে কোয়েরসেটিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে, যা রক্তে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুযায়ী, কাঁচা পেয়াজের চেয়েও বেশি গুণ পেঁয়াজের চায়ে। কেন নিয়মিত এই চা খাবেন? চলুন জেনে নিই-
ঠান্ডা লাগা কমায়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ঘনঘন সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, জ্বর বা ফ্লু এর মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে নিমেষে মুক্তি পেতে খেতে পারেন পেঁয়াজের চা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ভিটামিন-সি। পেঁয়াজে আছে ভিটামিন-সি এবং ফাইটোকেমিক্যাল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
পেঁয়াজের চা হজমশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করে এটি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী পেঁয়াজ চা। রোজ সকালে এক কাপ এই চা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওজন কমায়:
পেঁয়াজে আছে কোয়েরসেটিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড, যা ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়। মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে:
পেঁয়াজে কোয়েরসেটিন নামক একটি যৌগ থাকে। এই উপাদানটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এই চা।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করে:
যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অব্যর্থ ওষুধ হলো পেঁয়াজের চা। রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ পেঁয়াজের চা খান। এতে খুব ভালো ঘুম হবে, উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কীভাবে পেঁয়াজের চা তৈরি করবেন?
একটা প্যানে ২ কাপ পানি নিন। এতে কাটা পেঁয়াজ, অল্প থেতো করা রসুন, তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে ৭-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। যখনই দেখবেন পানির রং পরিবর্তন হয় গাঢ় বাদামী রঙের হয়ে গেছে, তখন নামিয়ে নিন। এরপর কাপে ঢেলে মধু মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি পেঁয়াজের চা।
কতবার খাবেন?
পেঁয়াজের চা প্রতিদিন সকালে একবার করে খেতে পারেন। প্রয়োজন হলে সকাল ও সন্ধ্যায় খেতে পারেন। এর বেশি এই পানীয় খাবেন না।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: