ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১
প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৭
আপডেট:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৮
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজৌর জেলায় এক চলমান ক্রিকেট ম্যাচের সময় ঘটে গেলো এক হৃদয়বিদারক ও আতঙ্কজনক ঘটনা। খারের কাওসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিস্ফোরিত হয় একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইএলডি), ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে টার্গেটেড অ্যাটাক বলে সন্দেহ করছে। এমনটায় জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এর এক প্রতিবেদনে।
বাজৌর জেলার পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকাস রফিক এই ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।'
ঘটনায় আহত হন পুলিশ কনস্টেবলসহ আরও একজন বেসামরিক ব্যক্তি, যিনি নাজীব খান নামে পরিচিত। আহতদের দ্রুত খার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণে মাঠের ভেতরে থাকা একটি গাড়িও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতেই শেষ নয়, স্থানীয় পুলিশ জনসংযোগ কর্মকর্তা ইসরার খান জানান, বিস্ফোরণের পরপরই আরও একটি সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা হয়। একটি কোয়াডকপ্টার দিয়ে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালানোর চেষ্টা হলেও সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই, কয়েকদিন আগেই বর্ণনাতীত এক রক্তাক্ত রাত পার করেছে বেল্টের আরেক শহর বান্নু। মঙ্গলবার সেখানে একটি আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার মাধ্যমে শুরু হয় ১২ ঘণ্টার ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ।
প্রথমে আত্মঘাতী জঙ্গি একটি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি চালিয়ে দেয় ঘাঁটির দেয়ালে, তাতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এরপরই ঢুকে পড়ে সশস্ত্র জঙ্গিরা। এই হামলায় নিহত হন ছয় নিরাপত্তা সদস্য ও ছয় সন্ত্রাসী। আহত হন আরও ১৬ জন নিরাপত্তা কর্মী ও ৩ জন সাধারণ নাগরিক।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান সাজ্জাদ খান জানান, 'আমাদের বাহিনী ১২ ঘণ্টা ধরে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে। হামলাকারীরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এসেছিল।'
এখনো কোনো গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার না করলেও, পুলিশ মনে করছে হামলার পেছনে রয়েছে ইসলামপন্থী চরমপন্থীরা। খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা ইসলামি আইনের কঠোর সংস্করণ চালু করতে চায়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: