ব্যাট হাতে ভালো শুরু লঙ্কানদের
প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২৫ ১৩:০১
আপডেট:
১৯ জুন ২০২৫ ১৭:০৪

পিচে বোলারদের জন্য খুব বেশি কিছু ছিল না। উইকেটের দেখা পেতে হলে দরকার খুবই চতুর বোলিং। সেটা বাংলাদেশ পারেনি, বিপরীতে লঙ্কান ব্যাটাররাও খেলেছেন দেখেশুনে। ফলে খুব একটা সুযোগ বাংলাদেশ পেয়েছে এমন বলাও চলে না।
শ্রীলঙ্কা দল এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে লাঞ্চের আগে ২৭ ওভার ব্যাটিং করে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলেছে। ১৩তম ওভারে লাহিরু উদারার একমাত্র উইকেট তুলে নেন স্পিনার তাইজুল। নিশাঙ্কা ৮৩ বলে ৪৬ ও চান্দিমাল ৪৭ বলে ২২ রানে ক্রিজে অপরাজিত আছেন।
বৃহস্পতিবার গল টেস্টের তৃতীয় দিনে লাঞ্চের আগে খেলা হয়েছে ২৯.৪ ওভারের। তাতে বাংলাদেশ খেলেছে মোটে ২.৪ ওভার। আগের দিনের ৯ উইকেটে ৪৮৪ রানের সঙ্গে এদিন শেষ উইকেটে আরও ১১ রান যোগ করেছে টাইগার ব্যাটাররা। এদিন প্রত্যাশা ছিল ৫০০ রানের। কিন্তু গতকাল বিকেলের ব্যাটিং ধসটা পূর্ণতা পেল সকালের তৃতীয় ওভারে এসেই। নাহিদ রানাকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন আসিথা ফার্নান্দো।
বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের সকালে যোগ করলো মোটে ১১ রান। কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ বলে শূন্য রান করা নাহিদ রানা। এর মধ্য দিয়ে শেষ উইকেটটি হারিয়ে দলীয় ৪৯৫ রানেই শেষ হলো বাংলাদেশের ১ম ইনিংস। আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে।
গলে বাংলাদেশের শুরু আর শেষ কোনোটাই ঠিক মনমতো হয়নি ভক্তদের জন্য। আগে ব্যাট করে প্রথমদিনে মাত্র ৪৫ রান তুলতেই টপঅর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারায় টাইগাররা। পরের দলের হাল ধরেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনের ২৬৪ রানের জুটিটাই বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে প্রথম দিনের শেষে।
দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্যক্তিগত ১৪৮ রানে শান্ত আউট হলেও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৭ম ড্যাডি সেঞ্চুরি। ১৫০ পেরুনোর পরে খুব একটা এগুনো হয়নি তার। ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে সাজঘরের পথে ফিরতে হয় তাকে। হতাশ হয়েছেন লিটন কুমার দাসও। ৫ম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ১৪৯ রানের জুটির পরেই ব্যক্তিগত ৯০ রানে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক।
মুশফিকের উইকেট থেকেই শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। যার রেশ ছিল তৃতীয় দিনের সকাল পর্যন্ত। ২৬ রান তুললতেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে ৪ উইকেট আসিথা ফার্নান্দোর। ৩টি করে উইকেট মিলান রত্নায়েকে ও থারিন্দু রত্নায়েকের।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: