ভারতীয় নির্বাচকের বিরুদ্ধে ৭ তারকার ক্যারিয়ার ধ্বংসের অভিযোগ
প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২৫ ১৮:৩৪
আপডেট:
১৭ জুন ২০২৫ ০১:১২

২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পরবর্তী দুই বছরে রূপান্তর পর্বের মধ্য দিয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেট। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ০-৪ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর, বেশ কয়েকজন ভারতীয় অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
সেই সময় নির্বাচকরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়ক পদ থেকে সরানো হবে, সেই কমিটির অন্যতম মুখ্য সদস্য ছিলেন মোহিন্দর অমরনাথ। সম্প্রতি সেই পর্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ সিং বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) নির্বাচকরা কোন কারণ ছাড়াই ছেলেগুলোর ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছিলো। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জহির খান, মোহাম্মদ কাইফ, ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড় এই ছেলেগুলোকে ২০১১ সালের পর দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপ জয়ের পর নির্বাচকরা পুরো দলটাই ভেঙে দিলো। সাতজন প্লেয়ারের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, জহির খান ও হরভজন সিংকে পর্যায়ক্রমে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ নিজেরাই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। সেই কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়ে।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, জহির খান ও হরভজন সিংকে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তৎকালীন নির্বাচক মোহিন্দর অমরনাথকে তীব্র ভাষায় দোষারোপ করে যোগরাজ বলেন, ধোনির অধিনায়কত্বে আমরা পাঁচটা সিরিজ হারি। তখন ওকে সরানোর কথা হয়েছিল, আর অমরনাথকেই অধিনায়ক বদলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে এটা করা হয়েছিল, সেটা সঠিক ছিল না।
অমরনাথ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় হারের পর ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আটকে দেন তৎকালীন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন।
২০১২ সালে অমরনাথ বলেছিলেন, যখন আপনি কাউকে সম্মান করেন, তখন আপনি প্রশ্ন করেন না। কিন্তু আমার প্রশ্ন, যদি নির্বাচক কমিটি ভারতীয় ক্রিকেটের ভালোর কথা ভেবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় না কেন?’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: