মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় যে আমল
প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০৯
আপডেট:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৩

ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নামাজ। ঈমান আনার পর একজন মুসলিমের জন্য প্রত্যেকদিন পাঁচবার নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজ আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ উপহার যা মহানবী (সা.) মেরাজে আল্লাহর সাক্ষাতের সময় লাভ করেছিলেন।
কোনো মুসলিম ঠিকমতো, হক আদায় করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে তিনি ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব পাবেন এবং কেউ অবহেলা করলে আল্লাহর দরবারে তাকে ৫০ ওয়াক্তের হিসাব দিতে হবে।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)
নামাজ আদায় না করা এবং নামাজ আদায়ের ব্যাপারে অবহেলা দেখানো একজন মুসলিমের পতন ও ধ্বংসের প্রথম পদক্ষেপ। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে একজন মুসলমানের জীবন্ত ও কার্যকর সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্ক তাকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কেন্দ্রবিন্দু থেকে বিচ্যুত হতে দেয় না। এ বাঁধন ছিন্ন হবার সাথে সাথেই মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে বহুদূরে চলে যায়। এমনকি কার্যকর সম্পর্ক খতম হয়ে গিয়ে মানসিক সম্পর্কেরও অবসান ঘটে।
নামাজের প্রতি অবহেলা দেখানো লোকদের আল্লাহ তায়ালা ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রবৃত্তির অনুসারী বলে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—
তাদের পর এল অপদার্থ পরবর্তিগণ, তারা নামাজ নষ্ট করল ও প্রবৃত্তিপরায়ণ হল; সুতরাং তারা অচিরেই অমঙ্গল প্রত্যক্ষ করবে। (সুরা মারইয়াম, আয়াত : ৫৯)
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বান্দা ও শিরকের মধ্যে সীমারেখা হলো নামাজ ছেড়ে দেয়া। (মুসলিম, হাদিস: ৮২)
আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, আমাদের এবং কাফেরদের মধ্যে নামাজই হচ্ছে একমাত্র পার্থক্যকারী বিষয়, (তাদের কাছ থেকে এরই অঙ্গীকার নিতে হবে) সুতরাং যে কেউ নামাজ পরিত্যাগ করল সে কুফরী করল। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬২১)
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: