ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য ‘জশনে জুলুস’
প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৭
আপডেট:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৮

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত হয়েছে বর্ণাঢ্য ‘জশনে জুলুস’। ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমন ও বিদায়ের দিন স্মরণে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া।
ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম দিক থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা ঘুরে আবার পশ্চিম গেইট হয়ে উদ্যানে ফিরে আসে এবং শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
শোভাযাত্রার সামনের অংশে লেখা ছিল- ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীরা সাদা টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় কালেমাখচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন বহন করেন। পাশাপাশি বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়েও মিছিলে অংশ নেন অনেকে। শোভাযাত্রা জুড়ে ধ্বনিত হয়- ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে রিসালত, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)’। কারও কারও হাতে গাজার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, মহানবী (সা.) মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবীজুড়ে চলছে যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে এ শিক্ষার প্রতিফলন ঘটলেই সমাজে ভ্রাতৃত্ব, শান্তি ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।
হিজরি সাল অনুযায়ী, ১২ রবিউল আউয়াল দিনেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ ও ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিমরা এ দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকেন।
দিনটি উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর, পরিচ্ছন্নতা, টেলিযোগাযোগ, ডাক ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।
এ ছাড়া ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। পৃথক বাণীতে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণ ও শান্তি কামনা করেছেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: