বৃহঃস্পতিবার, ২১শে আগস্ট ২০২৫, ৬ই ভাদ্র ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


আল্লাহর কাছে যে সাহায্য চেয়েছিলেন নূহ (আ.)


প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৮

আপডেট:
২১ আগস্ট ২০২৫ ১১:৩২

ছবি ‍সংগৃহিত

হজরত নূহ আ.-কে আদমে সানী বা দ্বিতীয় মানব বলা হয়। তার জাতির খোদাদ্রোহীতা এবং সত্য পথ থেকে বিচ্যুতির কারণে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি হিসেবে পৃথিবীজুড়ে বন্যা দিয়েছিলেন। এই বন্যায় অল্প কিছু মানুষ ছাড়া সবাই মারা যান। পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমেই মানবজাতির বিস্তার ঘটে। এজন্য নূহ আ.-কে আদমে সানী বলা হয়।

নূহ আ.-এর সম্প্রদায়ের খোদাদ্রোহীতার কথা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। তিনি প্রায় হাজার বছরের মতো জীবন পেয়েছিলেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদরে দিকে আহ্বান করেছেন। কিন্তু তার সম্প্রদায়ের লোকজন নবীর কথায় সাড়া দেয়নি। উল্টো তার ওপর বিভিন্ন পন্থায় নির্যাতন করেছে, কখনো কখনো তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করেছে।

তাদের আঘাতে নূহ আলাইহিস সালাম অনেক সময় রক্তাক্ত এবং বেহুশ হয়ে পড়ে থাকতেন। জ্ঞান ফিরলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলতেন, হে আল্লাহ আমার জাতিকে ক্ষমা করুন, তারা অজ্ঞ, মূর্খ, জানে না, বুঝে না।

তাদের সব নির্যাতন সয়ে তিনি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মকে আসমানী ধর্মের দিকে আহ্বান করে গেছেন শুধু এই আশায় যে হয়তো তাদের কোনো এক প্রজন্ম তার কথায় আল্লাহর ওপর ঈমান আনবে।

কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রাণপণ চেষ্টা করেও নূর আলাইহিস সালামের সম্প্রদায় আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনেনি।

নূহ (আ.)-এর আহ্বানের পরও যখন বারবার তারা সত্য থেকে মুখ ফিলিয়ে নিয়েছিল, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তাদের বিষয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন।

পবিত্র কোরআনে নূহ (আ.)-এর সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে—

قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ بِمَا كَذَّبُوۡنِ

নূহ বলেছিলেন, হে আমার রব! আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। (সুরা আল-মুমিনুন, আয়াত : ২৬)

অর্থাৎ নূহ (আ.) বললেন, আমার প্রতি এভাবে মিথ্যা আরোপ করার প্রতিশোধ নিন। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, কাজেই নূহ নিজের রবকে ডেকে বললেন, আমাকে দমিত করা হয়েছে, এখন আপনিই এর বদলা নিন। (সুরা আল-কামার, আয়াত : ১০)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর নূহ বললো, হে আমার রব! এ পৃথিবীতে কাফেরদের মধ্য থেকে একজন অধিবাসীকেও ছেড়ে দিবেন না। যদি আপনি তাদেরকে থাকতে দেন তাহলে তারা আপনার বান্দাদেরকে গোমরাহ করে দেবে এবং তাদের বংশ থেকে কেবল দুষ্কৃতকারী ও সত্য অস্বীকারকারীরই জন্ম হবে। (সূরা নূহ, আয়াত : ২৬–২৭)

আল্লাহ তায়ালা নূহ (আ.)-এর দোয়া কবুল করলেন এবং তিনি নূহ আলাইহিস সালামকে একটি নৌকা তৈরির নির্দেশ দিলেন। নৌকার নির্মাণ কাজ শেষ হলে একদিন প্লাবন হলো। আসমান থেকে মুষলধারে বৃষ্টি নামল, ভূমিতল থেকেও উতলে উঠল পানি।

নূহ আলাইহিস সালাম ঈমানদার মানুষ এবং জোড়া জোড়া প্রাণী নিয়ে নৌকায় চড়লেন। এই প্লাবনে নৌকার আরোহী ছাড়া পৃথিবীর সব প্রাণী মারা গেল। সবকিছু ধ্বংস হওয়ার পর আল্লাহর হুকুমে আসমানের বৃষ্টি থামল, জমিন পানি শোষণ করে নিলো। ঈমানদারদের মাধ্যমে আবার নতুন করে পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হলো।

এসএন/রুপা


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top