বুধবার, ১৩ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


দাউদ (আ.)-এর যে গুণ পছন্দ করতেন আল্লাহ


প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩১

আপডেট:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৩৬

ছবি সংগৃহীত

হজরত দাউদ আ. বনী ইসরাঈলের নবী ছিলেন। তিনি অন্যান্য নবীদের মতো চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। তিনি শতায়ু পেয়েছিলেন। তাঁর পুত্র সন্তানের সংখ্যা ছিল ১৯ জন। সন্তানদের মধ্যে সুলায়মান নবুয়ত ও শাসন ক্ষমতা উভয় দিক দিয়ে পিতার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। আল্লাহ পিতা ও পুত্রকে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে সৃষ্টি করেছিলেন।

দাউদ আ. অত্যন্ত মধুর কণ্ঠে জাবুর পাঠ করতেন। যাতে পশু, পাখি, এমনকি মাছ পর্যন্ত বিমোহিত হতো। ফলে ‘দাউদি কণ্ঠস্বর’ প্রবাদের মর্যাদা লাভ করে।

হজরত দাউদ (আ.) একদিন পর পর রোজা রাখতেন। রাতের এক তৃতীয়াংশে ইবাদত করতেন এবং বাকি অংশে ঘুমাতেন। আল্লাহ তায়ালা তার এই গুণটি খুব পছন্দ করতেন। এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন—

আল্লাহ তায়ালার কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় নামাজ ছিল দাউদ আলাইহিস সালামের নামাজ এবং সর্বাধিক পছন্দনীয় রোজা ছিল দাউদ আলাইহিস সালামের রোজা। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন এবং আবারও রাতের ষষ্ঠাংশে ঘুমাতেন এবং তিনি একদিন পর পর রোজা রাখতেন। (বুখারি, হাদিস : ১১৩১, মুসলিম, হাদিস : ১১৫৯)

মহানবী (সা.)-এর ওপর মক্কার কাফেররা যখন নির্যাতন চালিয়েছিল তখন আল্লাহ তায়ালা মহানবী (সা.)-কে দাউদ (আ.)-এর কথা স্মরণ করিয়ে ধৈর্যধারণের উপদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

اِصۡبِرۡ عَلٰی مَا یَقُوۡلُوۡنَ وَ اذۡكُرۡ عَبۡدَنَا دَاوٗدَ ذَا الۡاَیۡدِ ۚ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ

তারা যা বলে তাতে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন এবং স্মরণ করুন আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদের কথা; তিনি ছিলেন খুব বেশি আল্লাহ অভিমুখী। (সুরা সোয়াদ, আয়াত : ১৭)

 


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top