শনিবার, ৫ই জুলাই ২০২৫, ২১শে আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


আশুরায় যে আমল করবেন


প্রকাশিত:
৫ জুলাই ২০২৫ ১৩:০৫

আপডেট:
৫ জুলাই ২০২৫ ১৯:০২

ছবি সংগৃহীত

মুহাররম মাসের সব থেকে মহিমান্বিত দিন আশুরা বা মুহাররমের ১০ তারিখ। হাদিসে আশুরার দিনের অনেক ফজিলত হয়েছে। ইসলামপূর্ব আরব জাহেলি সমাজে এবং আহলে কিতাব- ইহুদী-নাসারাদের মাঝেও ছিল এ দিনের বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা।

আল্লাহ তায়ালা আশুরার দিন কুদরত প্রকাশ করেছেন। বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বের করে দিয়েছেন এবং তাদের নিরাপদে পার করে দিয়েছেন। আর একই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়ে মেরেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১/৪৮১)

মুসলিম উম্মাহ এ দিনটিকে বিশেষ আমল তথা রোজা পালনের দিন হিসেবে শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে। সব নবী-রাসুলের যুগেই আশুরার রোজা আমল ছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় থাকতেও আশুরার রোজা পালন করতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসেও নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখতে পেলেন, ইহুদিরা এই দিনে রোজা রাখছে। তিনি রোজা রাখার কারণ জানলেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে বললেন, ‘মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ইহুদিদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অগ্রগণ্য। সুতরাং তোমরাও আশুরায় রোজা রাখো। তবে তাদের অনুকরণ বা সাদৃশ্য যেন না হয় সে জন্য তিনি আগের কিংবা পরের ১ দিন রোজা পালনের কথাও বলেছেন।

আশুরার রোজা সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ রোজা হল আল্লাহর মাস মহররমের রোজা।’

হাদিসে বর্ণিত মহররমের রোজাটি মূলত ১০ মহররম তথা আশুরার রোজা। এদিন রোজা রাখা মহররমের মর্যাদা ও বরকতের উৎসও বটে।

আরেক হাদিসে হজরত আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় আশুরার রোজা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন- আশুরার রোজা বিগত বছরের পাপসমূহ মোচন করে দেয়।’

এসএন /সীমা


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top