হজের সময় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন যেভাবে
প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৫ ১২:১৫
আপডেট:
২ আগস্ট ২০২৫ ০৮:১২

হজযাত্রীরা ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন—১. জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা) ২. জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং ৩. জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)
জামারাতুল আকাবা মক্কার দিকে মসজিদুল খাইফের সর্ব নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত। একে জামারাতুল উখরা ও কুবরাও বলা হয়। ১০ জিলহজ এখানে তাকবির বলতে বলতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতে হয়। কাবাঘর বাঁ দিকে ও মিনা ডান দিকে রেখে দাঁড়ানো সুন্নত। অন্য দুই জামারায় এদিন কঙ্কর নিক্ষেপ করতে নেই।
১১ তারিখে তিন জামারায় (প্রথমে ছোট, এরপর মধ্যম এবং সব শেষে বড় জামারায়) ৭–৩=২১টি পাথর মারতে হয়। ১২ তারিখেও অনুরূপ তিন শয়তানকে ২১টি পাথর মারতে হয়। তিন দিনে সর্বমোট ৭+২১+২১=৪৯টি কঙ্কর মারতে হয়।
পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, প্রতিটি পাথর পৃথক পৃথকভাবে নিক্ষেপ করতে হয়। একসাথে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করলে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। পরবর্তীতে আরও ছয়টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে, জাবির (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর হজের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) জামরাতুল কুবরার নিকট এলেন এবং সাতটি কংকর নিক্ষেপ করলেন। প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলেন। (সহিহ মুসলিম ১/৩৯৯)
আহকামে হজ, পৃষ্ঠা : ৭৫
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: