শাশুড়ির সঙ্গী হয়ে ১৭ বছর পর দেশে ফিরবেন ডা. জুবাইদা
প্রকাশিত:
৩ মে ২০২৫ ১০:৩৮
আপডেট:
৪ মে ২০২৫ ০০:৫৫

সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাজ্য থেকে আগামী ৪ মে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে দেশে ফিরবেন দুই পুত্রবধূও। তবে তাদের মধ্যে ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখবেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। একে একে এতটা বছর পর দেশে ফিরতে না পারা তারেক রহমানের পত্নীর আগমনকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরাও বেশ উজ্জীবিত।
রোববার (০৪ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা। খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি পরদিন সোমবার (০৫ মে) সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। টানা ১৭ দিন দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। চার মাসের চিকিৎসা শেষে ৫ মে সোমবার দেশে পৌঁছাবেন তিনি।
স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান। এরপর কেটে গেছে ১৭টি বছর। স্বামী তারেক রহমান ও একমাত্র সন্তান জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে ছিলেন। অবশেষে শাশুড়ি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন জুবাইদা রহমান।
জুবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি করেন। তিনি চিকিৎসকদের সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে ১৯৯৫ সালে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
তবে ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে ছুটি বাড়ানোর পরেও ফেরত এসে চাকরিতে যোগ না দেওয়ায় তাকে বরখাস্ত করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিলেটের মেয়ে জুবাইদা রহমানের বাবা প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময়েও তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী জুবাইদা রহমানের চাচা।
১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে জুবাইদা রহমানের বিয়ে হয়। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে তিনি স্বামী তারেক রহমানের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন।
ডা. জুবাইদার নিরাপত্তায় পুলিশ চায় বিএনপি
এদিকে দেশে ফেরার পর জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
গত ৩০ এপ্রিল দেওয়া ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে ডা. জুবাইদা রহমানের জীবনে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে ধানমন্ডিতে তার পৈতৃক বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ থাকবেন।
চিঠিতে ডা. জুবাইদা রহমানের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারটি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— একজন সশস্ত্র গানম্যান নিয়োগের সঙ্গে গাড়িসহ পুলিশ প্রটেকশন চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া বাসায় পুলিশ প্রহরা এবং বাসার প্রবেশপথে আর্চওয়ে স্থাপনের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: