খালেদা জিয়ার জীবনটাই ছিল লড়াইয়ের। মৃত্যুর মুখেও তিনি আপস করেননি। আমরা গর্ব করে বলতো পারবো, আমরা খালেদা জিয়ার কর্মী৷ আজ আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম থেকে খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে আসা আবুল কালাম নামে এক যুবক। তার মতো অসংখ্য মানুষ আজ ঢাকায় এসেছেন আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে, তারা জানাজায় শরিক হতে।
আবুল কালামের মতো যশোর থেকে এসেছেন কবির খান। তিনি বলেন, আজ লাখ লাখ নেতাকর্মী আসছে। বেগম জিয়া মানুষের মনে রয়েছেন। চিরদিন তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে মানুষের অন্তরে থাকবেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সর্বস্তরের মানুষ আজ (বুধবার) ভোর থেকেই জড়ো হচ্ছেন সংসদ ভবন এলাকায়। যারা জানাজায় শরিক হতে এসেছেন তাদের কারও হাতে দেশ ও দলের পতাকা রয়েছে। আবার কারও হাতে কালো পতাকা রয়েছে।
দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মরদেহ সংসদ ভবন এলাকায় রয়েছে।
দীর্ঘদিন রাজধানীর এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তার মরদেহ গতকাল এভারকেয়ার হাসপাতালেই রাখা হয়। এরপর আজ (বুধবার) সকাল ৯টার একটু আগে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে করে তার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ নেওয়া হয় গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনে। এরপর সেখান থেকে নেওয়া হয় সংসদ ভবন এলাকায়।