আইসিসির পূর্ণ সদস্য এমন দুটি দেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩০৪ রান তুলে রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন ঝড় তোলার ম্যাচে তারা ১৪৬ রানের বিশাল জয়ও পেয়েছে।
ম্যাচটিতে যেমন ইংল্যান্ডের দাপট ছিল, তেমনি বেশকিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ডও গড়েছেন দলটির ক্রিকেটাররা। ইংলিশদের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার ফিল সল্ট।
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে যত রেকর্ড
৩০৪
দুটি পূর্ণ সদস্য দেশের টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সর্বোচ্চ ২৯৭ রান করার রেকর্ড ছিল ভারতের (প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই রান টপকে নতুন রেকর্ড (৩০৪) গড়ল ইংলিশরা। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি সবমিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ৩৪৪ এবং নেপাল ৩১৪ রান করেছিল মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। এর আগে ফরম্যাটটিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান ছিল ২৬৭। সে হিসেবে হ্যারি ব্রুকের দল গতকাল ফরম্যাটটিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ইতিহাসও গড়ল।
৪৮
কালকের ম্যাচে ৩০ চার ও ১৮টি ছক্কা মিলিয়ে ইংলিশ ব্যাটাররা ৪৮টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৪ সালে ইতিহাসগড়া ৩৪৪ রান করার পথে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের বাউন্ডারি ছিল ৫৭টি।
১০০
পূর্ণ সদস্য দেশের টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থবার পাওয়ার প্লেতে ১০০ রান দেখা গেল। বিনা উইকেটেই ইংলিশরা গতকাল ৬ ওভারে এই রান তোলে। এদিক থেকে সবার ওপরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করা অস্ট্রেলিয়ার ১১৩/১। পূর্ণ সদস্য দেশের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৬৬
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ ওভার শেষে সর্বোচ্চ দলীয় রানের (১৬৬/১) রেকর্ড এটি। ইংল্যান্ডের গড়া এই রেকর্ডের আগে ১০ ওভারে ১৫৬/৩ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১০ ওভারে ১৬৭ রান করার রেকর্ড রয়েছে আইপিএলে (লখনৌর বিপক্ষে হায়রাবাদ)।
২০০
টি-টোয়েন্টিতে গতকাল ইংল্যান্ড দ্রুততম (১২.১ ওভার) ২০০ রানের রেকর্ড গড়ে। এর আগে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে দলীয় ২০০ রান করেছিল ১২.৫ ওভারে।
১২৬
ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে সল্ট ও জস বাটলার ১২৬ রান করেন। এই জুটিতে ১৭ ইনিংসে চারবার ১০০–এর অধিক রান হয়েছে। যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সামনে আছে কেবল পাকিস্তানি তারকা বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটি।
বাটলার-সল্ট ১২৬ রান করেছেন মাত্র ৪৭ বলে। তাদের রানরেট ছিল ১৬.০৬। যা পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রানরেটের রেকর্ড।
১৮/১৯
ইংল্যান্ডের হয়ে গতকাল বাটলার তৃতীয় এবং সল্ট চতুর্থ দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন। বাটলার ১৮ এবং সল্ট (২০২২ সালেও পাকিস্তানের বলে সমান বলে ফিফটি আছে) ওই কীর্তি গড়েন ১৯ বলে। এর আগে মঈন আলি ১৬ ও লিয়াম লিভিংস্টোনের ১৭ বলে ফিফটি করার রেকর্ড রয়েছে।
৩৯
মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেছেন সল্ট। যা ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম। এর আগে লিভিংস্টোন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৬০ বলের পুরো ইনিংসটি সাজান ১৫ চার ও ৮ ছক্কায়। তার করা ১৪১* রান ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। এর আগে তার করা ১১৯* রান এতদিন ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল।
৪
টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৪২তম ইনিংস খেলতে নেমে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন সল্ট। যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার সমান চারটি সেঞ্চুরি করতে সূর্যকুমার যাদব ৮০ ইনিংস খেলেছেন। সেঞ্চুরির সংখ্যায় সল্ট-সূর্যের সামনে আছেন কেবল দুজন। সমান ৫টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১৪ ইনিংস) ও রোহিত শর্মার (১৫১ ইনিংস)।
১০৮
কেবল বাউন্ডারিতেই (১৫ চার ও ৮ ছক্কা) ১০৮ রান করেছেন সল্ট। যা ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। এর মধ্য দিয়ে নিজের রেকর্ডই নতুন করে গড়লেন সল্ট। এর আগে তিনি ৮৮ রান তোলেন বাউন্ডারিতে।
৪
গতকাল ফিল্ডার (নন-উইকেটরক্ষক) হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে এক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৪টি ক্যাচ ধরেন জোফরা আর্চার। বল হাতে ৩ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও তার প্রদর্শনী ছিল প্রশংসনীয়। এর আগে কেভিন পিটারসেন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩টি ক্যাচ নেন।
৭০
গতকাল ৪ ওভারে উইকেটশূন্য থেকে ৭০ রান খরচ করেন কাগিসো রাবাদা। যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। এর আগে কাইল অ্যাবট এক টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রান দেন।