রাতের ইবাদত ও তাহাজ্জুদ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম। যে ব্যক্তি রাত জেগে ইবাদত পালন করেন, তাকে আল্লাহ তায়ালার প্রিয়বান্দা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সেজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৬৩-৬৪)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করুন; এটা আপনার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে)।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৭৯)
হাদিসেও তাহাজ্জুদের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করে যে ব্যক্তি নিজে তা আদায় করে এবং স্ত্রীকেও তাহাজ্জুদ পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। এ বিষয়ে এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
আল্লাহ ওই পুরুষকে রহমত করুন যিনি রাতে নামাজ আদায়ের জন্য জাগ্রত হলেন এবং তার স্ত্রীকে জাগালেন তারপর যদি স্ত্রী জাগতে গড়িমসি করে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলেন। একইভাবে আল্লাহ ওই মহিলাকে রহমত করুন যিনি রাতে সালাত আদায়ের জন্য জাগ্রত হলেন এবং তার স্বামীকে জাগালেন তারপর যদি স্বামী জাগতে গড়িমসি করে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৮, ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৬)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কোন লোক রাতে জাগ্রত হয়ে তার স্ত্রীকে জাগিয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে তারা দু’জনের নাম অধিক হারে আল্লাহর যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারি মহিলাদের মধ্যে লিখা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৯, ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৫)