যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগের গতিকে স্লো করে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উত্তরা ইপিজেড বন্ধ ঘোষণায় আগামীতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা এ ঘটনাকে পুঁজি করে কোনো ধরনের আশঙ্কা তৈরি হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগের গতিকে স্লো করে দিতে পারে। এটলিস্ট যদি আমরা খুব ক্লিয়ারলি বিনিয়োগকারীদেরকে এই কথাটুকু এক্সপ্লেইন করতে না পারি, যে কেন এই ধরনের দুর্ঘটনা হলো এবং এটাকে প্রতিহত করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা কী করব? এটা যদি আমরা ঠিকভাবে না বলতে পারি, তাহলে এই প্রবলেমটা থেকে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি গত জুন-জুলাই থেকে এফডিআইয়ের (প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ) ট্র্যাকটা দেখেন, আপনি দেখবেন এফডিআইতে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরে একটা বড় ডিপ হয়েছিল। তারপর আমরা অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর থেকে স্লোলি ইকোনমি রিকভার করা শুরু করলাম। এফডিআই আবার ব্যাকট্র্যাক করা শুরু করল। এখন আমরা একটা নম্বরে চলে আসছি, যেটা গত বছরের এই সিমিলার টাইমের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য চেষ্টা করছি। আর ইকোনমি ট্রেন্ডটা ধরে রাখতে হলে দুর্ঘটনাগুলোকে আমাদের খুব ম্যাচিউরলি হ্যান্ডেল করতে হবে। এখন ওখানে স্পেসিফিকালি কী কারণে, কীভাবে হয়েছে, আমি এতো ডিটেইলে জানি না। এটা খুবই দুঃখজনক।’
শ্রমিক আইন নিয়ে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় জানিয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য কী আইন হবে, সরকারের অবস্থা কী হবে, ব্যবসায়ের জন্য কী আইন হবে— এই ট্রাঙ্গুলার রিলেশনশিপকে আরও কীভাবে ভালো করা যায়, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
শ্রমিকদের আইন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারিনি। তবে চেষ্টা করব আগামী সপ্তাহ থেকে এটা নিয়ে খুব জোরেশোরে কাজ করার। আর সেটা হচ্ছে, জুডিশিয়াল সাইট রুল অফ ল। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রধান বিচারপতি এবং তাদের একটা টিমের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করব। যেন আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি, যার মাধ্যমে একটি ব্যবসা-বান্ধব আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।’