রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে ফের আপিল শুনবেন আপিল বিভাগ। আগামী ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আপিল শুনানির এই দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে, গত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার টানা শুনানির ফলে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাক্রম মামলার রিভিউ এর রায় পিছিয়ে দেয়া হয়। ওইদিন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
গত ২৭ এপ্রিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ৯ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন। পরে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরা আবেদন করেন।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের ওপরের দিকে রাখা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়। আর প্রধান বিচারপতির পদক্রম জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক রিভিউ আবেদন করেন। পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হন।