গত কয়েকদিনে ভারতের বেশ কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জানিয়েছিলেন, তারা টিকটকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পেরেছেন, তবে তারা লগইন করতে, ভিডিও আপলোড করতে বা দেখতে পারেননি। এছাড়াও, চীন-ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মের অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে এখনও উপলব্ধ নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতে ফের টিকটক চালুর যে গুঞ্জন চলছিল তাতে ঘি ঢালল দেশটির সরকার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি সূত্র জানায়, টিকটক এখনও ভারতে নিষিদ্ধ রয়েছে। যদিও কিছু ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, তারা টিকটকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পেরেছেন। তবে সেখানে লগইন, ভিডিও আপলোড বা দেখা—কোনোটিই সম্ভব হয়নি।
সরকারি এক কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেন, ‘ভারত সরকার টিকটকের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি। এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর।’
ওয়েবসাইট অ্যাক্সেসের রহস্য
ভারতের টেলিকম দফতর জানিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরা টিকটক ওয়েবসাইট এখনও ব্লক করে রেখেছে। তবুও কিছু ব্যবহারকারী কীভাবে অ্যাক্সেস পাচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়। অ্যাপটি এখনও গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে নেই।
ভারত-চীন সম্পর্কের প্রেক্ষাপট
২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর ভারত সরকার টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। তখন টিকটকের ভারতে ২০০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী ছিল। সরকার অভিযোগ তোলে, এই অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করছে এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-চীন সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। সীমান্তে শান্তি রক্ষা, বাণিজ্য চালু, বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি এবং দ্রুত বিমান যোগাযোগ পুনরায় শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে। ফলে টিকটকের প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা বাড়লেও সরকার সাফ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।
এসএন/রুপা