২০১৩ সালের ২১ আগস্ট, রাত ২টা… সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পার্শ্ববর্তী ঘৌতার দুটি এলাকার মানুষ তখন গভীর ঘুমে মগ্ন। ঠিক তখন সেখানে ভয়াবহ রাসায়নিক অস্ত্র ছোড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের বাহিনী।
রাসায়নিকের তেজস্ক্রিয়া এতটাই বেশি ছিল যে এগুলো মুহূর্তে কেড়ে নেয় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ।
সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএএইচআর) এর তথ্য অনুযায়ী, বিষাক্ত গ্যাসভর্তি ১০টি রকেট একটি বিশেষ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ঘৌতায় ছোড়া হয়। ওই রকেটগুলোর একেকটির ভেতর ২০ লিটার বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ছিল।
জানা যায়, এগুলো ছিল সারিন গ্যাস। যার অর্থ সিরীয় বাহিনীর লক্ষ্য ছিল ওই দুটি এলাকায় ব্যাপক হারে মানুষকে হত্যা করা।
এছাড়া রকেটগুলো ছোড়া হয় রাত ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। ওই সময় তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাতাস স্থির থাকে।
তারা মূলত সব পরিকল্পনা করে রাতের বেলা এ বিষাক্ত গ্যাসবাহী রকেট ছুড়েছিল। রাতের এই সময়টায় হামলার লক্ষ্য ছিল গ্যাস যেন নিচের দিকে থাকে এবং অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটায়।
বিষাক্ত ওই রাসায়নি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১ হাজার ১৪৪ জনের। যারমধ্যে ৯৯ শিশু এবং ১৯৪ জন নারী ছিলেন। হামলায় আহত হয়েছিলেন আরও ৫ হাজার ৯৩৫ জন। তারা শ্বাসকষ্ট এবং দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগেছেন।
ভয়াবহ ওই হামলায় নিহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মধ্যরাতে ঘৌতার মসজিদগুলো থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দেওয়া হয়।
যে সময় আসাদ বাহিনী ঘৌতায় হামলা চালায় তখন অঞ্চলটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সূত্র: দ্য নিউ আরব
এসএন/রুপা