সর্দি-কাশি দূর, অথবা ভারী খাবারের পর ভালো হজমের জন্য আদার বিকল্প নেই। চা থেকে শুরু করে মসলাদার যেকোনো খাবার, আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় আদা থাকেই। আর কেনই বা নয়? এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি কি জানেন, প্রতিদিন আদা খেলে তা শরীরের কী উপকার করে থাকে?
নিয়মিত আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ডঃ বসন্ত লাডের লেখা দ্য কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিজ অনুসারে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম সেরা প্রতিকার হলো আদা। কাটা আদা, দারুচিনি এবং লেমনগ্রাস ১ কাপ গরম পানিতে ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে নিন এবং মধু যোগ করুন। এই পানীয় পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
২. হজমে সহায়তা করে
পেটে গ্যাস থেকে বমি বমি ভাব পর্যন্ত, আদা হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। হিলিং ফুডস বই অনুসারে, আদা অন্ত্রকে রক্ষা করে এবং নিরাময় করে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের মাধ্যমে খাবারের চলাচল ত্বরান্বিত করে এবং বাতাস, পেটফাঁপা এবং ক্র্যাম্প কমায়। এটি মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে এবং হজম রস প্রবাহিত করে।
৩. প্রদাহ কমায়
ওয়ার্কআউটের পরে হাঁটুতে ব্যথা বা সাধারণ জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়? আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার ডায়েটে আদা যোগ করুন। যা ধীরে ধীরে জয়েন্টের গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
৪. রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে
খাদ্যতালিকায় আদা যোগ করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। যদিও এটি ওষুধের বিকল্প নয়, প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আদা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
৫. ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়
এক কাপ আদা চা ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। আদা বুকের কফ দূর করতে সাহায্য করে, গলা ব্যথা প্রশমিত করে এবং অসুস্থতার সময় শরীরের প্রয়োজনীয় উষ্ণতা প্রদান করে।
এসএন/রুপা