পূর্ববর্তী যুগের নবীদের একজন হজরত হজরত ইদরিস (আ.)। তিনি ছিলেন হজত নুহ (আ.)-এর প্রপিতামহ এবং হজরত শীশ (আ.)-এর দৌহিত্র। তার আরেক নাম ছিল আখনুখ। তিনি অধ্যয়নপ্রিয় ছিলেন বলে তার নাম হয়েছে ইদরিস।
আল্লাহ তায়ালা হজরত ইদরিস (আ.)-এর ওপর ৩০টি সহীফা বা আসমানী গ্রন্থ নাজিল করেছিলেন। তিনিই প্রথম কলম দিয়ে লেখার প্রচলন করেন এবং সেলাই করা কাপড় পরিধানের প্রথা আবিষ্কার করেন। এর আগে মানুষ চামড়ার পোশাক পরতো।
তিনিই প্রথম যুদ্ধান্ত্র নির্মাণ করেছিলেন এবং তা দিয়ে সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামও করেছিলেন। জ্যোতির্বিদ্যা ও অংক শান্ত্রেরও আবিষ্কারক ছিলেন তিনি। সুরা মারইয়ামে তার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন আল্লাহ তায়ালা। বর্ণিত হয়েছে—
আর স্মরণ করুন এ কিতাবে ইদরিসকে, তিনি ছিলেন সত্যনিষ্ঠ নবী; আর আমি তাকে উন্নীত করেছিলাম উচ্চ মর্যাদায়। এরাই তারা, নবীদের মধ্যে আল্লাহ যাদেরকে অনুগ্রহ করেছেন, আদমের বংশ থেকে এবং যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম। আর ইবরাহিম ও ইসরাঈলের বংশোদ্ভূত, আর যাদেরকে আমি হেদায়াত দিয়েছিলাম এবং মনোনীত করেছিলাম; তাদের কাছে দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হলে তারা লুটিয়ে পড়ত সিজদায় এবং কান্নায়।(সুরা মারইয়াম, আয়াত : ৫৬-৫৮)
আয়াতে হজরত ইদরিস (আ.)-কে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার কথা বলা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য এই যে, তাকে উচ্চ স্থান অর্থাৎ, আকাশে অবস্থান করার ব্যবস্থা করেছেন আল্লাহ তায়ালা।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন মেরাজের রাতে আমাকে আকাশে উঠানো হয়েছিল, আমি চতুর্থ আসমানে ইদরিস (আ.)-কে দেখেছি। (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৫৭)