ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ১৩ জন মার্কিন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা একটি চিঠিতে সই করেছেন। মার্কিন অ্যাক্সিওস পোর্টেল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) লাইভ প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানায়, এই পদক্ষেপটি গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রতিফলন ঘটায়। যেখানে ২২ মাস ধরে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পর মার্কিন আইনপ্রণেতাদের এই আহ্বানটি এলো। এটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে তাদের অবস্থানে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার আইনপ্রণেতা রো খান্নার নেতৃত্বে এই চিঠিতে নতুন সই করা লোকের সংখ্যা বেড়েছে চলেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন চেলি পিংগ্রি, নাইডিয়া ভেলাজকুয়েজ এবং জিম ম্যাকগভর্ন। প্রাথমিকভাবে সই করেন গ্রেগ ক্যাসার, লয়েড ডগেট, ভেরোনিকা এসকোবার এবং আন্দ্রে কারসনসহ আরও ৯ জন।
অ্যাক্সিওস পোর্টেলের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে লেখা চিঠিতে আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, 'এই মর্মান্তিক মুহূর্তটি বিশ্ববাসীর সামনে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেওয়ার দীর্ঘ প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।'
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ৪৫০ জন ছাড়িয়েছে। যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে দখলদার বাহিনী ২০২৩ সাল থেকে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। অবিরাম বোমাবর্ষণে অঞ্চলটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন ও সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।