39323

07/28/2025 খামেনিকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ইসরাইলের

খামেনিকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ইসরাইলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৬

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। একইসঙ্গে ইরানে নতুন করে হামলার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৭ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ রোববার দক্ষিণ ইসরাইলের রামন বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে প্রকাশ্যেই ইরানে নতুন করে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ কাটজকে উদ্ধৃতি করে বলেছে, ‘আমি এখান থেকেই স্বৈরাচারী খামেনিকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই: যদি আপনি ইসরাইলকে হুমকি দেওয়া অব্যহত রাখেন, তাহলে আমাদের দীর্ঘ হাত আবারও তেহরানে পৌঁছাবে, আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তি নিয়ে এবং এবার ব্যক্তিগতভাবে আপনিও লক্ষ্যবস্তু হবেন। ‘

তবে ইসরাইলের এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান।

এর আগে গত ১৩ জুন ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। পাল্টা জবাবে তেহরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ইসরাইলের অব্যাহত হামলার মধ্যেই তেল আবিবের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।

অবশেষে গত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১২ দিনের এই যুদ্ধের বিরতি হয়।

তবে যুদ্ধবিরতির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, 'আমরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করব না, অন্তত এখনই নয়।' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে ইরানকে ঘিরে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন।

'তিনি (খামেনি) সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে সেখানে নিরাপদ আছেন। আমরা তাকে অপসারণ (হত্যা!) করব না। অন্তত এখনই না।'

তিনি উল্লেখ করেন, 'কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বা মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।'

এসএন /সীমা

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]