ভারতের আহমেদাবাদে গত ১২ জুন ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানবন্দরের সামনে থাকা একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে বিমানটি। এতে সেখানেও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে বিমানটির যে ২৪২ আরোহী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই নিহত হন।
শনিবার (১২ জুলাই) বিমান বিধ্বস্তের প্রাথমিক কারণ জানিয়েছে তদন্তকারীরা। তারা বলেছেন, ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়ার যে সুইচ আছে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
যা বিমানের দুই পাইলটের কথোপকোথনে ফুটে উঠেছে। উড্ডয়নের পর পর এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেষ করেন, তিনি ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়ার সুইচ বন্ধ করেছেন কি না। তখন অপর পাইলট বলেন, “না আমি করিনি।”
এ বিষয়টি নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। কারণ যে সুইচ বন্ধের বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া এটি লক খুলে এরপর বন্ধ করতে হয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির ভারতীয় প্রতিনিধি সৌতিক বিশ্বাস বলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ১২ বছর পুরোনো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটির জ্বালানি সরবরাহের সুইচটি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বিমানের পাওয়ার হারিয়ে ফেলেন পাইলট। যা সাধারণত বিমান ল্যান্ডিং করার পর করা হয়।
তিনি আরও বলেছেন, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লেভার লক থাকা এই সুইচগুলো এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন ভুলক্রমে এগুলো বন্ধ না হয়ে যায়। সুইচটি বন্ধ করতে হলে প্রথমে লক খুলতে হবে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি ১৯৫০ সাল থেকেই চলছে। এছাড়া সুইচগুলোর ওপর গার্ড ব্রাকেট রয়েছে যেন কোনোভাবেই ভুলক্রমে এগুলো বন্ধ না হয়ে যায়।
কানাডাভিত্তিক এক বিমান দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, “এক হাত দিয়ে একসঙ্গে দুটি সুইচ কোনোভাবেই বন্ধ করা সম্ভব নয়। এতে ভুলক্রমে এগুলো বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
সূত্র: বিবিসি
এসএন /সীমা